নজরদারির অভিযোগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা (ক্লাস অ্যাকশন মামলা) করেছেন ২৫ হাজার ব্যবহারকারী। তাদের অভিযোগ, ব্যাপক হারে নজরদারি করছে সামাজিক যোগাযোগের এ ওয়েবসাইটটি। ফেসবুকের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান তথ্য অধিকার সুরক্ষাকর্মী ম্যাক্স শ্রেমসের করা একটি মামলায় এ দাবি করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ফেসবুকের লাইক বাটনটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করে। এ খবর দিয়েছে দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার একটি আদালতে মামলাটির শুনানি হবে। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অবস্থিত ফেসবুক সদর দপ্তরের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ আনা হয়েছে। এখানেই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাইরের সকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিবন্ধিত রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কোন মন্তব্য করেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর আগেও ফেসবুকের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ড ও ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা করেছিলেন ম্যাক্স শ্রেমস। তিনি বলেন, ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ ও তার ব্যবহার আইনের লঙ্ঘন। ফেসবুকের এমন ব্যাপক নজরদারি বন্ধ করতে চান বলেও জানান তিনি। এ মামলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণস্বরূপ ৩৬০ ইউরো দেয়ার দাবি করা হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে। শ্রেমস বলছেন, এ ক্ষতিপূরণ দাবি মূলত প্রতীকী। অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ এ মামলার অংশ হতে চেয়েছিলেন। তবে মামলার অভিযোগকারীর সংখ্যা ২৫ হাজারেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ’র ‘প্রিজম’ নজরদারি কর্মসূচিরও উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই নজরদারি কর্মসূচির তথ্য সাবেক এনএসএ কর্মী অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন ফাঁস করে দিয়েছিলেন। ফাঁস করা তথ্যে বলা হয়েছিল, বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এনএসএ’র ওই নজরদারি কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Leave a Reply