হোক প্রস্তুতি ম্যাচ, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ বছরের জয়খরা তো ঘুচল বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে অনেকবারই তীরে এসে তরী ডুবেছে টাইগারদের। কাল সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে সেই কাঙ্ক্ষিত জয় পেল বিসিবি একাদশ। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সাব্বির এবার তার ‘শো’ দেখালেন ফতুল্লায়। মূলত সাত নম্বরে ব্যাট করলেও কাল তাকে নামানো হল চারে। আউট হতে পারতেন ৮ রানের মাথায়। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজের প্রথম ওভারের ষষ্ঠ বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ ছাড়েন মোহাম্মদ রিজিওয়ান। সাব্বির পাকিস্তানকে আর কোনো সুযোগ দেননি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে সাত চার ও আট ছয়ে ১২৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস থেকে জুনায়েদের বলে ফেরেন তিনি। ম্যাচে বিসিবি একাদশ জয় পেয়েছে এক উইকেটে।
সাব্বিরের ইনিংস দেখে মুগ্ধ মোহাম্মদ হাফিজও। তার দেখা ওয়ানডের অন্যতম সেরা সেঞ্চুরি এটি। তবে নিজের সেঞ্চুরিকে বড় করে না দেখে দলের জন্য কিছু করতে পেরেই খুশি সাব্বির। তিনি বলেন, ‘এটা দলগত জয়। দলের প্রয়োজনে আমার এক রান অনেক বড় বিষয়। সেঞ্চুরি করে জেতাতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। অনুশীলন ম্যাচ হোক আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক- এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি। আমি খুব উপভোগ করেছি। ইনিংসটাকে আমি কোনো তালিকায় রাখতে চাই না, ম্যাচ জিতেছি বলেই ভালো লাগছে।’ আজহার আলী, সাদ নাসিম, সাঈদ আজমল ও জুনায়েদের বলে একটি করে, ইয়াসির শাহ ও রাহাত আলীকে দুটি করে ছয় মেরেছেন সাব্বির। বিশ্বকাপে ভালো খেলার ধারা প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখিয়েছেন তিনি। এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপে ভালো খেলেছি। সেখান থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। সেই আত্মবিশ্বাস এ সিরিজে কাজে লাগবে আমাদের।’ প্রস্তুতি ম্যাচে হারের পর পাকিস্তান সিরিজে চাপে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বাইরে খেলতে যাই, প্রথম অনুশীলন ম্যাচে হারলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। পাকিস্তানও এখন চিন্তা করবে তারা অনুশীলন ম্যাচ হেরেছে, যা তাদের প্রথম ম্যাচে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো খেলা।’ সেঞ্চুরি করলেও পাকিস্তানের বোলারদের প্রশংসা করলেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘ওরা খুব ভালো বোলার। আমি ভালো ব্যাটিং করেছি। আমার একটা সুযোগ ওরা মিস করেছে, কিন্তু ওরা ভালো বোলার।’ জাতীয় দলে সাব্বিরের ব্যাটিং পজিশন সাত। কিন্তু কাল চারে নেমেই বাজিমাত করে দিলেন। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কিছু ভাবছেন কিনা জানতে চাইলে সাব্বির বলেন, ‘ এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। টিম ম্যানেজম্যান্ট জানে আমি কোথায় খেলব। আমাকে যেখানেই খেলানো হোক না কেন, আমি ভালো খেলার চেষ্টা করব। ৪-৫ ভালো পজিশন। আমাদের দলে অনেক বড় ব্যাটসম্যান এই পজিশনে ব্যাটিং করেন। আমাকে যেখানে খেলানো হোক না কেন আমি প্রস্তুত।’ ভালো অবস্থানে থেকেও অনেক ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এবার আর সেটা হয়নি। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি মারার বল পেলে মারব। ইতিবাচক থাকব। ইতিবাচক ছিলাম বলেই আমরা ভালো খেলেছি এবং ম্যাচটি জিততে পেরেছি।’
0 1
– See more at: http://www.jugantor.com/sports/2015/04/16/249595#sthash.bvPXi3uY.dpuf
Leave a Reply