আবদুল হামিদ ।ফাইল ছবিরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভারত সফরে ‘নিরাপত্তা’ যথাযথ ছিল না বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ। ভিআইপি বা ভিভিআইপিকে ব্যক্তিদের বিশেষ গাড়িতে করে আগ্রায় তাজমহলে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও আবদুল হামিদকে নিয়ে যাওয়া হয় সাধারণ ব্যাটারিচালিত একটি বাহনে (স্থানীয় ভাষায় ‘গল্ফ কার্ট’ বলা হয়)। এ ছাড়া ভারত সফরের আগ্রায় যে পাঁচতারকা হোটেলে রাষ্ট্রপতির থাকার ব্যবস্থা করা হয় সেটির লিফটও ছিল সমস্যাযুক্ত এবং রাজস্থানের আজমির শরিফের ভিড় সামলানোর জন্য ছিল না যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় আজ শুক্রবার প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরটিতে বলা হয়, এ রকম অভিযোগ পেয়েছেন বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন।
আগ্রার পুলিশ ও উত্তর প্রদেশের নিরাপত্তা সংস্থাকে বিষয়গুলো তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিষয়টি ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ভিআইপিদের জন্য কি ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সচিব প্রণব বিশ্বাস উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের রাজ্যের প্রধান সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ একটি রাষ্ট্রীয় সফরে ২০১৪ সালের ১৮ থেকে ২৩ ডিসেম্বর দিল্লি, জয়পুর, আজমির, কলকাতা এবং শান্তিনিকেতন সফর করেন। কোনো সমস্যা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে তাঁর সেই সফর সমাপ্ত হয়। তবে কিছু জায়গায় অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেখা গেছে।
সচিব প্রণব বিশ্বাস অবশ্য বলেছেন, সাধারণত আগ্রায় ভিভিআইপিদের সফরের সময় সাধারণ ব্যাটারিচালিত বাহনের ব্যবস্থাই করা হয়। তবে হোটেলের লিফট ঠিকভাবে কাজ করছিল না বলেও জানান তিনি।
অপর এক চিঠিতে আগ্রার জেলা প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যেন কোনো ভিআইপি ও ভিভিআইপিকে এমন ব্যাটারিচালিত বাহনে করে তাজমহলে নিয়ে যাওয়া না হয়। নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে আগ্রার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ভিআইপি সফরের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন আরও জোরদার করা হয়। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ কুমার চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে কথা বলার জন্য হামিদ ভারত সফরে গিয়েছিলেন।
Leave a Reply