প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ যদি মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে পারে তাহলে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই জয়ী হবো। বাংলাদেশ উন্নত হবে। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা মন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ দিলু, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, যুব প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কামাল আজাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সভায় এ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে তা বাস্তবায়নে নেয়া কর্মকান্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে তা অল্প সময়ের মধ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি জোরদার ও দারিদ্র্য হ্রাস করা। এ লক্ষ্য অর্জনে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। শহর ও গ্রামের মানুষের মধ্যে আয় বৈষম্য হ্রাস দ্রুততর করতে ‘একটি বাড়ী একটি খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের আগে অতীতে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তারাই এ দেশকে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা সামাজিক নিরাপত্তার দিকে গুরুত্ব দিয়েছি। কোথায় কোথায় সাহায্য করলে বাংলাদেশের মানুষগুলো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে সে দিকে নজর দিয়েছি। আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদেরও ভাতার ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি মানুষকে স্বনির্ভর করতে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রকল্পের ২২ লাখ সুবিধাভোগী ইতোমধ্যে দুই হাজার কোটি টাকার আমানত গড়ে তুলেছে, যা সরকারের জন্য এক মাইল ফলক। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ৪০ হাজার ৫২৭টি গ্রাম নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব গ্রাম ও ওয়ার্ড এ প্রকল্পের আওতায় আসবে।
বৈঠকে বলা হয়, এ প্রকল্পের আওতায় ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৭৪টি সমবায় মার্কেট স্থাপিত হয়েছে। আরো সমবায় মার্কেট প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।
Leave a Reply