ভূমধ্যসাগর হয়ে আসা হাজার হাজার অভিবাসীকে ইউরোপের দেশগুলোকে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাব দেবে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশন আগামীকাল বুধবার যে অভিবাসীনীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে, তাতে এ প্রস্তাব থাকবে। পাশাপাশি ইউরোপে আসার পর অভিবাসীরা যাতে পাচারকারীদের শরণাপন্ন না হয়, তা রুখতে আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তাবও থাকছে ঘোষণায়। খবর এএফপি ও বিবিসির।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টাইমস-এর বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়, ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ জাঙ্কার আগামীকাল একটি ‘বাধ্যতামূলক অভিবাসী কোটা পদ্ধতির’ প্রস্তাব দেবেন। এর আওতায় ইইউভুক্ত দেশগুলো জরুরি সময়গুলোতে অভিবাসীদের দায়দায়িত্ব ভাগ করে নেবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ‘এই অভিন্ন প্রচেষ্টায় সব সদস্যদেশের ভারসাম্যপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইইউর দরকার একটি স্থায়ী ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থার আওতায় বিপুলসংখ্যক উদ্বাস্তু ও আশ্রয়প্রার্থীর দায় সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যাবে।’ সংশ্লিষ্ট দেশের জিডিপি, জনসংখ্যা, বেকারত্বের হার, সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের বর্তমান সংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কোন দেশ কত অভিবাসীর দায়িত্ব নেবে।
বর্তমানে যে দেশে অভিবাসীরা প্রথম পৌঁছায়, সেই দেশকেই তাদের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। এর অর্থ, ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি, স্পেন বা মাল্টার মতো দেশগুলোতে অভিবাসীদের পৌঁছানো সহজ হওয়ায় এসব দেশকেই অভিবাসীর বোঝা টানতে হচ্ছে বেশি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউরোপে আসার পর অভিবাসীরা যাতে পাচারকারীদের শরণাপন্ন না হতে পারে, সে জন্য আইনগত ভিত্তি তৈরি করারও প্রস্তাব থাকবে জাঙ্কারের ঘোষণায়।
অবশ্য এসব প্রস্তাব কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় শুরু হয়েছে। কারণ প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে ইইউর সদস্যদেশগুলোকে আগে সম্মত হতে হবে। আগামী জুন মাসের শেষে ইইউর একটি সম্মেলনে প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রিয়াসহ কয়েকটি দেশ এমন প্রস্তাবের পক্ষে থাকলেও যুক্তরাজ্য, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, এস্তোনিয়াসহ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা শুরু করেছে। তারা বলছে, এসব পরিকল্পনা অগ্রহণযোগ্য। এর চেয়ে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ওপরে আলোকপাত করা উচিত।
যুক্তরাজ্যের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অতি সংকটে পড়া আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাজ্যের। কিন্তু আমরা মনে করি না যে পুনর্বাসনের বাধ্যতামূলক একটি পদ্ধতি অভিবাসী-সংকট সমাধানের কোনো পথ হতে পারে। আমরা ইইউ কমিশনের এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করব।’ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান এক ধাপ এগিয়ে ওই প্রস্তাবকে ‘পাগলামি ধারণা’ আখ্যায়িত করেছেন।
লিবিয়ার বিরোধিতা: এমন সামরিক অভিযানের পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছে লিবিয়া। জাতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম দাব্বাসি বলেন, ইইউর অভিপ্রায় অস্পষ্ট এবং খুবই উদ্বেগজনক
Leave a Reply