গোলাবারুদের সংকটে ভুগছে ভারত। সংকট এতটাই গুরুতর যে, দেশটি ১৫-২০ দিনের বেশি যুদ্ধ করতে পারবে না। এ অবস্থায় দেশটির সেনাবাহিনীকে ‘নিধিরাম’ বলতেও ছাড়ছে না সমালোচকেরা।
গত শুক্রবার ভারতের পার্লামেন্টে পেশ করা মহাহিসাব নিরীক্ষকের (সিএজি) এক প্রতিবেদনে দেশটির গোলাবারুদ-সংকটের এই চিত্র উঠে এসেছে।
সিএজির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সামরিক বাহিনীর ভান্ডারে বিভিন্ন ধরনের যেসব গোলাবারুদ আছে, তা ২০ দিনের যুদ্ধের জন্যও যথেষ্ট নয়।
সামরিক বাহিনীতে গোলাবারুদের এই হতাশাজনক ব্যবস্থাপনার জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের সমালোচনা করেছে সিএজি।
অন্তত ৪০ দিন প্রচণ্ড যুদ্ধ চালানোর মতো গোলাবারুদ মজুত রাখার একটি নিয়ম সামরিক বাহিনীতে আছে।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিএজি বলছে, ভারতের সামরিক বাহিনীর ভান্ডারে বিভিন্ন ধরনের যেসব গোলাবারুদ মজুত আছে, তার ৫০ শতাংশ ১০ দিনেই শেষ হয়ে যাবে।
২০১২ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী লক্ষ্য ঠিক করে, ২০১৫ সালের মার্চের মধ্যে অন্তত ২০ দিন যুদ্ধ করার মতো গোলাবারুদ মজুত করা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে ৪০ দিন যুদ্ধ করার মতো গোলাবারুদ মজুত করা হবে। কিন্তু সিএজি বলছে, লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছানো যায়নি। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গোলাবারুদ মজুত-পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। সামনে যে সময় আছে, এর মধ্যে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
সিএজি বলেছে, সীমিত উৎপাদন ক্ষমতার কারণে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড গোলাবারুদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে আমদানি প্রক্রিয়াও যুক্তিহীনভাবে শ্লথ।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) ‘তেজস’ নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছে সিএজি।
সিএজির ৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তেজস মার্ক-ওয়ান’ এর মাত্র ৩৫ শতাংশ দেশীয়। বিমানটিতে অন্তত ৫৩ ধরনের কারিগরি ত্রুটি রয়েছে। যুদ্ধে এই বিমানের সক্ষমতা ও টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিএজি।
Leave a Reply