মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শেষ বলে গড়ানো ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৫ রানে হারে কলকাতা। জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্যে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ফুরিয়ে ৭ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে সাকিব-ইউসুফের দল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে আইপিএলে ফিরেই বল ও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন সাকিব। ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ২৩ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
মুম্বেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই সাকিবকে বোলিংয়ে আনেন কলকাতা অধিনায়ক গৌতম গম্ভির। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পান সাকিব, ফেরান বিপজ্জনক হয়ে ওঠা পার্থিব প্যাটেলকে।নিজের পরের ওভারে আম্বাতি রাইদুকে লং অফে আন্দ্রে রাসেলের হাতে ক্যাচ বানান তিনি।
কিন্তু সাকিবের সতীর্থরা বল হাতে আলো ছড়াতে না পারায় মু্ম্বাই বড় স্কোর তুলে নেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তোলে তারা।
মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন হারদিক পান্ডিয়া। ৩১ বলের ঝড়ো ইনিংসটি তিনি সাজান ৮টি চার ও ২টি ছক্কায়। দলটির অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ড করেন ৩৩ রান।
জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্যে নামা কলকাতা উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান তোলে। কিন্তু নিজেদের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে রবিন উথাপ্পা (২৫ রান) ও মনিষ পাণ্ডেকে (১) হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় তারা।
অধিনায়ক গম্ভির ২৯ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন ১১তম ওভারের শেষ বলে। তবে বোলিংয়ের মতো ব্যাট হাতে সাকিব আলো ছড়ালে কলকাতার জয়ের আশা বেঁচে থাকে।
১৪.২ ওভারে বিনয় কুমারের বলে পান্ডিয়াকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৫ বলে তিন চারে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে ইউসুফ কলকাতার রানের চাকা একাই টেনেছেন। পোলার্ডের বলে প্যাটেলকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।
কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলে পাঠানের বিদায়ের পর পিযুশ চাওলা ও উমেশ যাদব জয়ের জন্য ১২ রানের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি। ২০তম ওভারে মাত্র ছয় রান তুলতে পারেন দুজন।
Leave a Reply