মুক্তমনা ব্লগার ও বিজ্ঞানভিত্তিক লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার প্রতিবাদে ও তার হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে অনন্ত বিজয়ের প্রতিকৃতি ধারণ করে প্রতিবাদী সমাবেশ ও মিছিল করেছে সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের অন্যতম চালিকাশক্তি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট।
রোববার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিছিল পূর্ববর্তী প্রতিবাদী সমাবেশ করা হয়। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত মিছিল করেছেন সিলেটের নাট্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের নেতৃ-কর্মীবৃন্দ।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদী সমাবেশের মাধ্যমে বক্তারা বলেন, অনন্ত বিজয় শুধুমাত্র একজন মুক্তমনা লেখক নয়, তিনি মুক্ত সংস্কৃতির একজন ধারক। তার হত্যা কেবল একজন লেখকের বা বিজ্ঞানমনস্কের হত্যা নয়, এ হত্যা মুক্ত চিন্তার বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের আঘাত।
বক্তারা আরো বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই দেশে চলছে বিচারহীনতার এক অপসংস্কৃতিক। আর এই সংস্কৃতির কারণেই নিয়মিতভাবেই হত্যা করা হচ্ছে প্রগতিশীর চিন্তার অধিকারীদের, মুক্তচিন্তার লেখকদের।
এক সময় মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর আঘাত সাংস্কৃতিক আন্দোলনকারীদের ও রাজনীতিবিদদের দিকে আসবে উলেখ করে বক্তারা বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যদি এ সকল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় না নিয়ে আসা হয়, তবে এই দেশ একদিন চরম সংকটের মুখোমুখি হবে।
প্রতিবাদী সভার মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি অনন্ত বিজয় দাশসহ সকল মুক্তমনা ও প্রগতিশীলদের হত্যার দাবি জানান সিলেটের নাট্যাঙ্গণের নেতৃবৃন্দরা। সেই সাথে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট’র সভাপতি অনুপ কুমার দেব’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাবেক পরিচালক ভবতোষ রায় বর্মন রানা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক আল আজাদ, জাতীয় আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও আবৃত্তিকার মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট’র প্রাক্তন সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুনীর হেলাল, প্রাক্তন সহ-সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সামসুল বাসিত শেরো, নাট্য সংগঠক বেলাল আহমেদ ও গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেট’র মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু প্রমুখ।
Leave a Reply