স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ দিবসে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়মী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব হারিয়ে আমার শুধু দেবার পালা। মানুষের জন্য করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের জন্য যে ত্যাগ করার করবো, আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত। দিনটি উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
গণভবনে প্রথমে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই দেশ ছেড়ে জার্মানি যাওয়া থেকে শুরু করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসার বিভিন্ন টুকরো স্মৃতি তুলে ধরেন। কান্না বিগলিত কন্ঠে তিনি বলেন, ৩৪ বছর আগে ঝড়ঝঞ্ঝাট মাথায় নিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর বিদেশে অবস্থান করে ফিরে এসেছিলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এ ছয় বছর দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে দেশের মানুষকে ছেড়ে থাকতে হয়েছিলো।
১৫ আগস্টের পরের ঘটনা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, কখনো শুনেছি, মা বেঁচে আছে। কখনো শুনেছি, রাসেল বেঁচে আছে। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না। আমরা পরিবারের সকল সদস্যকে হারিয়েছি। এসময় তার কণ্ঠ রোধ আসে। তাকে বার বার চোখের জল মুছতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭ মে পুতুলকে নিয়ে ফিরলাম। জয়কে রেহানা লন্ডনে নিয়ে গেলো। এয়ারপোর্টে নামলাম। মাটিতে লাখো মানুষের ঢল। চারদিকে লাখো মানুষ। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। কিন্তু যে ভালোবাসার মানুষকে রেখে গিয়েছিলাম, তাদের পাই নাই। এই কথাগুলো বলে কেঁদে ফেলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে। দিশা হারাই নাই। আব্বা-আম্মার কথা মনে রেখেছি। বাংলার জনগণ আমার পাশে, তাদের দোয়া-আশীর্বাদ, এটাই আমার শক্তি। তিনি বলেন, কেউ ভাবতে পারেনি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ মাথা উঁচু করবে। আমরা আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি। ভবিষ্যতে যেনো বাংলাদেশ অন্ধকার যুগে না যায়, সেজন্য সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply