সিলেট নগরীর সন্নীকটে অবস্থিত ড্রীমল্যান্ড নামক পার্কটি সিলেটবাসীদের ভাষ্যমতে সুস্থ বিনোদনের জন্য একমাত্র উন্নতর পার্ক। প্রতিনিয়ত বিনোদনের জন্য প্রচুর দর্শনার্থী এখানে আসেন।
স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এখানে পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। সুস্থ বিনোদন এই পার্কটিতে প্রায়ই ঘটে কত অপৃতীকর অনাকাঙ্গিত ঘটনা। কে রাখে কার খবর।
যারা অনাকাঙ্গিত ঘটনার স্বীকার হন তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ সম্মান রক্ষার্থে চুপচাপ করে চলে আসেন। কারণ কর্তৃপক্ষ এখানে রাইড অপারেটর এর নামে পার্ক রক্ষনা বেক্ষনের জন্য রেখেছেন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী।
তাদের ভয়ে যারা কোন না কোন ঘটনার স্বীকার হন তারা মুখ খুলতে সাহস পায়না। প্রতিবাদ করলে আক্রমনের স্বীকার হতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১শে মে বৃহস্পতিবার ড্রীমল্যান্ড পার্কে রাইড অপারেটর কর্তৃক স্কুল ছাত্রী ইফটিজিং এর স্বীকার হয়।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা সংশিষ্ট স্কুলের প্রিন্সিপাল বদরুল আলম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে লিখিত ভাবে উল্লেখ করেন সিলেট নগরীর আর রাইয়্যান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দদের সহকারে শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে ড্রীমল্যান্ড পার্কে যান।
পার্কের মার্কেটিং কর্মকর্তা আবু বক্করের সাথে ওয়াটার পার্কে প্রবেশের কন্টাক্ট এর ভিত্তিতে স্কুলের সকলই ওয়াটার পার্কে প্রবেশ করেন। সকলে মিলে পার্কের বিভিন্ন রাইড ব্যবহার করে আনন্দের সাথে মেতে উঠেছিল।
এই ধারাবাহিকতায় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুইজন ছাত্রী, আলম নামে একজন শিক্ষক এবং মোশারফ ও পরশ নামে দুই জন ছাত্র ট্রাইফুন চ্যানেল রাইড ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ওয়াটার পার্কের ৪তলায় যান এসময় রাইড অপারেটর এক স্কুল ছাত্রীকে উত্তপ্ত করতে থাকলে দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক প্রতিবাদ করলে তারা আরও উগ্র হয়ে এক স্কুল ছাত্রীর ওরনা ধরে টান দেয়।
ছাত্রীদের চিৎকারে উপস্থিত শিক্ষক ও ছাত্র এগিয়ে গেলে রাইড অপারেটররা একত্রিত হয়ে বাঁশ, গাছের লাঠি, লোহার চেয়ার দিয়ে তাদের বেধরক মারধর করে। ইহাতে শিক্ষক ও ছাত্র গুরুতর আহত হয়।
আহতদের চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ঐ স্কুলের মোহন নামের একজন অভিভাবক জানান, পার্কের জি.এম মোঃ সুমানুর রশিদ সুমান এবং গ্রুপ ফোর এর কর্মকর্তা ব্যথিত পার্কের সংশিষ্ট সবাই স্কুল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের কেউ মারধর করেন এবং কেউ পেটাতে হুকুম দেন।
আক্রমন করার জন্য ওয়াটার পার্কের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বিশেষ ভুমিকা রাখেন। স্কুলের সকলে ভয়ে ভিজা কাপড়েই পার্ক ত্যাগ করেন। পার্কের বাহিরে এসে দেখাযায় আরও ভয়ংকর অবস্থা।
বেশকিছু উগ্রপন্থি লোকজন রুল নিয়ে অবস্থান করছে। তখন কোন রকম জান বাচিয়ে দ্রুত সবাই ভিজা কাপড়েই গাড়িতে বসে পড়েন এবং পার্ক ত্যাগ করে গোলাপগঞ্জ থানা চলে যান। এবিষয়ে ড্রীমল্যান্ড পার্কের জি.এম মোঃ সুমানুর রশিদ সুমানকে ফোন করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন পার্কের রাইড অপারেটরদের সাথে স্কুল ছাত্র-শিক্ষকদের একটি অনাকাঙ্গিত ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক তবে ইহা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মিমাংশার প্রক্রিয়া চলছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম ফজলুল হক শিবলী জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম। থানাতে লিখিত অভিযোগ হয়েছে শুনেছি তবে ড্রীমল্যান্ড কর্তৃপক্ষ স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে স্থানীয়ভাবে বিরোধটির আপষ মিমাংশা করবেন বলে জানতে পেরেছি।
এবিষয়ে সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এবং তাদের ধিক্কার জানানো সহ তীব্র নিন্দা জানান।
আজ সিলেটের জন সাধারণের প্রশ্ন রক্ষক যদি হয় ভক্ষক তাহলে মানুষের আস্থা থাকবে কোথায়?
Leave a Reply