স্প্রিন্টে জ্যামাইকান উসাইন বোল্টকে আমার ভালো লাগে। কিন্তু আমার আইডল হলেন ম্যারাথন তারকা অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী মো. ফারাহ’, বলল দ্রুততম বালকের খেতাব জেতা বিকেএসপির আশরাফুজ্জামান রচি। এদিকে এক বছর পর ফিরে এসেই দ্রুততম বালিকার তকমা জিতে উচ্ছ্বসিত বিকেএসপির আয়শা সিদ্দিকা। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভাষা সৈনিক একেএম শামসুজ্জোহা স্মৃতি জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত দ্রুততম বালক ও বালিকা ইভেন্ট দুটির স্বর্ণপদকই গেছে বাংলাদেশ ক্রীড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)।
গেল বছর জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৭০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জিতেছিল বাগেরহাটের সন্তান রচি। একই আসরে ২০০ মিটারেও সোনা জিতেছে সে। এবারও তাই। কিন্তু রেকর্ড গড়া হল না বিকেএসপির দশম শ্রেণীর এই ছাত্রের। ট্র্যাকের ফিনিশিং লাইন যখন সে পার করছে, হ্যান্ড টাইমিংয়ে তার নামের পাশে সময়টা দেখা গেল ১০.৯০ সেকেন্ড। তাই নিজের পারফরম্যান্সে কিছুটা হতাশ রচি। তার কথায়, ‘স্বর্ণপদক জিতলেও তৃপ্তি পাইনি। কারণ গত আসরে এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে রেকর্ড গড়ে সেরার খেতাব জিতেছিলাম। আশা ছিল, এবারও সেরকম কিছু একটা হবে। কিন্তু তা হল না।’ এর জন্য সে ইনজুরিকে দুষল। রচি বলে, ‘হাঁটুর ইনজুরির কারণেই এবার রেকর্ড গড়া হল না। টুর্নামেন্টের পর আমি হাঁটুর এমআরআই করাব।’ ইনজুরিই দেশের বাইরে ভালো করতে দেয়নি রচিকে। এ মাসের শুরুতে কাতারের দোহায় ইয়ুথ এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে স্প্রিন্টে ১১.২৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১২তম স্থান পায় বাংলাদেশের এই অ্যাথলেট। ২০১২ সালে বিকেএসপির এক ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে অ্যাথলেটিকসে পথচলা শুরু রচির। বাবা শেখ মিঠু বাগেরহাটের মুদি ব্যবসায়ী। টানাপোড়েনের সংসারের সন্তান হলেও ক্রিকেট কিংবা ফুটবল নয়, অ্যাথলেটিকসকেই বেছে নিয়েছে রচি। তার কথায়, ‘কখনোই আমি ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলার কথা ভাবতাম না। কারণ অ্যাথলেটিকসই আমার প্রথম এবং শেষ পছন্দের খেলা।
বালিকাদের চূড়ান্ত হিটে দাঁড়াল আটজন। ডিসকোয়ালিফাই হয়ে দু’জন বাদ। ৯ জনকে নিয়েই দ্রুততম বালিকার খোঁজে নামতে হল জাজদের। সেখানেই পাওয়া গেল বিকেএসপির এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আয়শা সিদ্দিকা কেয়াকে। ১২.৭৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই খেতাব জেতে সে। ২০০৯ সালে আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটিকস ডিসিপ্লিনে প্রথম অংশ নেয় লালমনিরহাটের মেয়ে কেয়া। এরপর প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে বিকেএসপিতে জায়গা হয় তারও। সেখানে ভর্তি হয়েই বাজিমাত। ২০১৩ সালে ১০০, ২০০ ও ৪দ্ধ১০০ মিটার রিলেতে তিনটি স্বর্ণপদক জিতে হইচই ফেলে দেয় সে। পরের আসরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি কেয়াকে। গেল বছর ইনজুরির কারণে অংশ নেয়া হয়নি জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে। এক বছর পর ফিরে আবারও বাজিমাত। জিতল জুনিয়র অ্যাথলেটিকসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেরার খেতাব। তার কথা, ‘বিরতির পর স্বর্ণ জিততে পেরে আমি দারুণ খুশি
Leave a Reply