প্রেমিকা আনুশকা শর্মার সামনে হু হু কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। আর এই ঘটনা ঘটেছিল গত অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর মাসিক আয়োজন ‘ক্রিকেট মান্থলি’র সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে এই তথ্য।
টানা বিদেশ সফরে ধুঁকছিল ভারত। সর্বশেষ ১৩ টেস্টের মাত্র একটিতে জিতেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড সফরের পর ভারতের এই দুর্দশা চলছিল অস্ট্রেলিয়া সফরেও। চার টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটোতেই হার। তৃতীয় টেস্টটি ড্র হয়ে গেলে সিরিজ নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। সেই সময়ই আকস্মিক ঘোষণা আসে—টেস্ট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হুট করে নেতৃত্বভার চলে আসে কোহলির কাছে।
ভারতের অধিনায়ক হওয়া তাঁর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন। ভারতের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়কও ছিলেন। সেই কোহলি এভাবে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়ে যাবেন, ভাবতেই পারেননি। সেই সফরে কোহলির সঙ্গী ছিলেন তাঁর প্রেমিকা, বলিউড তারকা আনুশকা শর্মা। কোহলি দ্রুত আনুশকাকে সুসংবাদটি দিতে হোটেলে ছুটে যান। তখন এক সময় আবেগে কেঁদে ফেলেন।
সেই সময়ের স্মৃতি রোমন্থন করে কোহলি বলেছেন, ‘আমরা সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে কি, সেই সময় তাৎক্ষণিকভাবে মনে হয়নি আমি টেস্ট অধিনায়ক হতে পারব। আবেগ কিছুটা থিতিয়ে এলে ঘণ্টা দেড়েক পর আমি রুমে যাই। আনুশকাকে খবরটা জানাই। ওর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। কেন হুট করে এমনটা হলো, কেন ধোনি সরে দাঁড়াল। খানিক পরেই আমাদের দুজনেরই উপলব্ধি হলো, আমিই ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হতে চলেছি, শুধু এক দুটো ম্যাচের জন্য নয়, স্থায়ীভাবে। ঠিক সেই সময় আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। কারণ এটার প্রত্যাশা আমি করিইনি।’
কোহলি বলেছেন ‘সত্যি বলতে কি, যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি, কেউ যদি এসে বলত, ২৬ বছর বয়সে আমি ভারতে টেস্ট অধিনায়ক হবো… আমি বিশ্বাসই করতাম না। আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে টেস্ট খেলা। সেই মুহূর্তে সেই সব অবিশ্বাস্য অনুভূতি স্মৃতি ভেসে উঠতে থাকে। ছোট্টটি থাকার সময় খেলা শুরু করা, ক্লাব ক্রিকেট, স্কুল ক্রিকেট, রাজ্য দলের হয়ে খেলা…সব মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। কত ম্যাচ খেলে, কত পথ পাড়ি দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। অবশেষে সেই দিনটা, সেই মুহূর্তটা আমার সামনে। এটা যেন পরাবাস্তব এক ঘটনা। এটা বিশেষ এক অনুভূতি।’
Leave a Reply