ওয়াসিম আকরামের বয়স তখন ১৮ বছর। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর বোলিং দেখেই জাভেদ মিয়াঁদাদ তখন বুঝে গেলেন, এ এক বিস্ময়কর প্রতিভা। কদিন পরেই নিউজিল্যান্ড সফর। অধিনায়ক মিয়াঁদাদ সেই সফরে দলে ডাকলেন আকরামকে। আকরাম নিশ্চয়ই রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমবারের মতো বিদেশ যাচ্ছেন। টেনশনও হচ্ছিল খুব। সবচেয়ে বড় টেনশন, এত দূর দেশে বিমানে করে যেতে হবে, বিদেশের হোটেলে থাকতে হবে, খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারও আছে। নিশ্চয়ই অনেক টাকা খরচ হবে।
সদ্য তারুণ্যে পা দেওয়া সরল আকরাম মিয়াঁদাদকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই কত টাকা নিব বাড়ি থেকে?’ মিয়াঁদাদ তো হাসতে হাসতে খুন। জাতীয় দলে খেললে যে পুরো সফরের খরচ বোর্ড বহন করে, উল্টো খেললে যে টাকা পাওয়া যায়—এটাই জানতেন না আকরাম। মিয়াঁদাদ বুঝিয়ে বললেন। টাকা দিতে হবে না। উল্টো আকরামই পাবেন পারিশ্রমিক। সেটাও তখনকার হিসেবে নেহাত মন্দ নয়।
টাকা-পয়সার ব্যাপারে ভালো ধারণা না থাকলেও শুরুতেই পরিণত বোলিংয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন আকরাম। দুই ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে ছিলেন পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শীর্ষে।
আকরামের ক্যারিয়ারের শুরুর এই গল্পটা পাওয়া যাবে ওসমান সামিউদ্দিনের পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাস নিয়ে লেখা আনকোয়াইট ওয়ানস বইয়ে। আরেকটি তথ্য হলো, ইনজামাম-উল হকের মতো বেশ কিছু প্রতিভা খুঁজে বের করার সুখ্যাতি ইমরানের আছে বটে। তবে ওয়াসিমকে আবিষ্কারের কৃতিত্ব ইমরান নয়; ‘বড়ে মিয়াঁ’রই।
Leave a Reply