বাংলাদেশী টেলিভিশন চ্যানেল খুব শিগগিরই ভারতে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন, দেশটির পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাক্ষাৎ দেবেন।
এস জয়শঙ্করের এ তথ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বক্তব্যে যে সংশয় ছিল তা দূর হয়েছে।
এদিকে বরাবরই বাংলাদেশী চ্যানেল ভারতে না দেখানো নিয়ে চাপা ক্ষোভ আর বিরক্তি প্রকাশ হয়েছে আসছিল বাংলাদেশী গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজে। ভারতের সবকটি চ্যানেল এখানে দেখা গেলেও বাংলাদেশী কোনো চ্যানেল ভারতে প্রচার হতো না। এবার হয়তো ইতি ঘটতে যাচ্ছে একতরফা এই সংস্কৃতি বাণিজ্যের।
এ জয়শঙ্কর তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান যাতে ভারতে দেখা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।
বিষয়টি বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, ভারতের টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে দেখা গেলেও সে দেশের টিভি অনুষ্ঠান এ দেশে দেখা যায় না। আমরা চাই বাংলাদেশের টিভি অনুষ্ঠান এ দেশের মানুষ দেখতে পাক। কীভাবে করা হবে, তা কালই (আজ) শনিবার জানতে পারবেন।
মোদির ৬ ও ৭ জুনের সফরে মোট কতগুলো চুক্তি হবে, সে বিষয়ে জয়শঙ্কর কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমি সহজে বিশেষণ ব্যবহার করি না। কিন্তু এটা বলছি, সব দিক থেকেই এই সফর ঐতিহাসিক হতে চলেছে। সফরের কেন্দ্রবিন্দু স্থলসীমান্ত চুক্তি। এই চুক্তি সম্পাদন মোটেই কোনো সাধারণ ব্যাপার নয়। আর এই চুক্তিই সহযোগিতা ও শুভেচ্ছার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
সেই সহযোগিতার আধারেই সড়ক, রেল, নদীপথ ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় যোগাযোগের বেশ কিছু ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশকে ব্যতিক্রমী প্রতিবেশী বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। এই বহুত্ববাদী সমাজকে ভারত সমর্থন করে। ভারত প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের কাছে অনেক কিছু শিখছে।
এসময় জয়শঙ্কর বলেন, সফরের দ্বিতীয় দিনে নরেন্দ্র মোদি খালেদা জিয়া ছাড়াও বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, বাম নেতা এবং বণিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ দেবেন।
Leave a Reply