তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনে চুক্তির আশ্বাস দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা মহাকাশ পর্যন্ত। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের শাপলা হলে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুকে এ যুগের মহান নেতা আখ্যায়িত করে নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তিতে সহযোগিতার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বাগরেহাটে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এবং ভারতের সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দুই বছরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ১১শ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে। রামপালে ভারতের সহায়তায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। যথাসময়ে কাজ শেষ হবে।যথাযথ আইন মেনেই সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
গত মাসে ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিল পাস হওয়ার বিষয়ে মোদি বলেন, এতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
মোদি আরো বলেন, গতবছর পার্লামেন্টে জলসীমার অনুমোদন দেয়া হয়। এরমাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে দুই জাতির সামনে যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ নিশ্চিত করবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। আজকের আলোচনা সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
কানেক্টিভিটি জোরদারে এগিয়ে যেতে দুই দেশের সামনে বড় ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সড়ক-রেল-সমুদ্র এমনকি ডিজিটাল কানেক্টিভিটিতে উভয় দেশ কাজ করবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত দুইশ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বলেও ঘোষণা দেন মোদি। বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটানের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
ভারতের পক্ষ থেকে মানবপাচার ও জাল নোটের বিস্তার রোধে সহায়তার পাশাপাশি উপকূলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, এতে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ জোরদার হবে।
শেখ হাসিনার সরকারের ভিশন-২০২১ এর প্রশংসা করেন মোদি। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply