অনিশ্চিত যাত্রা থেকে দেশে ফিরেছে দেড়শ বাংলাদেশী। মিয়ানমারের উপকূলে উদ্ধার হওয়া ১৫০ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
সোমবার দুপুরে বিজিবির প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধারকৃত ১৫০ বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। এরমধ্যে ৫৫ জনই নরসিংদী জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া অন্য জেলার মধ্যে কক্সবাজারের ৩৩ জন, ঝিনাইদহের ১২ জন, বান্দরবানের ১০ জন, চট্টগ্রামের ৭ জন, বাহ্মণবাড়িয়ার ৬ জন, পাবনার ৫ জন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, সুনামগঞ্জ-বাগেরহাট-চুয়াডাঙার ৪ জন করে, নাটোর- চাঁদপুর-হবিগঞ্জের ১ জন করে, নারায়ণগঞ্জ-রাজবাড়ি-যশোরের ২ জন করে বাসিন্দা রয়েছেন।
বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান জানান, এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানানো হবে।
এরআগে সোমবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি প্রতিনিধি দল তাদের ফিরিয়ে আনতে মায়ানমারের গিয়ে পৌঁছান।
সকাল সাড়ে ১০টায় ১৫০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনতে বাংলাদেশের ঘুমধুম ও মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া সীমান্তে বিজিবির সাথে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২১ মে সাগরে ভাসমান অবস্থায় থাকা ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। উদ্ধার হওয়ার পর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এদের মধ্যে ২০০ জন বাংলাদেশি রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ২৪ মে মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল।
এ প্রতিনিধি দলের মিয়ানমার যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করার। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত নিতে হবে দাবি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যাওয়া স্থগিত করে এবং উদ্ধার হওয়াদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে চিঠি পাঠায়।
ওইদিন কর্তৃপক্ষ যে তালিকা পাঠায় তা ছিল বিভ্রান্তিকর ও অপূর্ণাঙ্গ। ওই তালিকাটি সে দিনই বিজিবির সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে মায়ানমারের কাছে আরেকটি চিঠি পাঠায় বিজিবি। এরপর আজ তাদেরকে ফিয়ে আনা হয়।
সম্প্রতি মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ২শ’ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়। তালিকাটি যাচাই-বাছাই করে ১৫০ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
Leave a Reply