পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, সীমান্তপথে নারীদের হয়রানি বন্ধে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
দেশ-বিদেশের কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নারীদের জন্য সব পেশার দরজা খুলে দিয়েছেন। আজ মেয়েরা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে কাজ করছেন। এমনকি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতেও আমাদের দেশের নারীরা কাজ করছেন। নারীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে নারীদের সমস্যাগুলো দূর করতে সরকারি উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি আজ রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে আয়োজিত ‘প্রমোটিং উইমেন এন্টারপ্রেনারশিপ থ্রু ইমপ্রুভিং রিজিওনাল কো-অপারেশন’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডাব্লিউবিসিসিআই) আয়োজিত এ সেমিনারে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ, বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) বিজয় সেলভারেজ এবং এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসান এম মজুমদার। ডব্লি¬উবিসিসিআই-এর সভাপতি সেলিমা আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে নারীদের জগরণ এসেছে। ভারত , মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের নারীদের কাজের দক্ষতা অনেক বেশি। তারা দেশে এবং দেশের বাইরেও তাদের কর্মদক্ষতার নজির রেখেছে। এদেশের নারীদের কাজে খুশি হয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আরও নারী পুলিশ কর্মকর্তা চেয়েছেন।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্বেও নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে প্রত্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কাজ করলে সমস্যা আসবে। তাই পিছিয়ে গেলে চলবে না। সমস্যা মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে তাদের সমস্যাগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোতে জমা দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সমস্যা চিহ্নিত করা গেলে সমাধানও আসবে। আপনাদের সমস্যাগুলো কাগজে লিপিবদ্ধ করে তা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোতে জমা দেবেন এবং তার একটি কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিবেন। আমরা সেগুলো দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেয়েদের বেশি উপস্থিতিকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি এটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে নারীরা অনেক অগ্রসর হয়েছে।
Leave a Reply