নীলফামারীতে মৃত ঘোষণার ২ ঘণ্টা পর কেঁদে উঠল এক সদ্যজাত মেয়ে নবজাতক। দায়িত্ব অবহেলার এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার ডক্টর্স ক্লিনিক নামের এক কথিত বেসরকারী ক্লিনিকে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী ওই ক্লিনিকটি অবরোধ করে রাখে।
জানা যায়, জেলার ডোমার উপজেলার চিকনমাটি এলাকার মোকছেদুল নামের একজনের স্ত্রীর গতকাল শুক্রবার রাতে প্রসব বেদনা উঠে। তড়িঘড়ি করে তারা চিকিৎসার জন্য ওই ক্লিনিকে নিয়ে যায়। রোগীর উপস্থিতির পর ওই ক্লিনিকের মালিক ডাঃ মাসুম ও ডাঃ নিহার রঞ্জন নামের দুজন চিকিৎসক শনিবার ভোরে রোগীকে সিজার করে। সিজারে একটি মেয়ে সন্তান জন্মলাভ করে। সন্তান প্রসবের পর চিকিৎসকরা জানান বাচ্চাটি মৃত। এর পর রোগীর অভিভাবকরা সদ্যজাত নবজাতকের দাফন কাফনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এদিকে অযত্ম আর অবহেলায় সদ্যজাত নবজাতকটি দুই ঘণ্টা ক্লিনিকের একটি রুমে পরে থাকে। ২ ঘ্ণ্টা পর নবজাতকের অভিভাবকরা বাচ্চাটিকে নিতে গেলে সে হঠাৎ করে কেঁদে উঠে। এরপর ক্লিনিক জুড়ে শুরু হয় হট্টগোল। এলাকাবাসী দলে দলে ওই ক্লিনিক চত্বরে জড়ো হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক মালিক তাদের ঘোষণা দেয়া সদ্যজাত মৃত নবজাতককে নিজ খরচে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ক্লিনিক মালিক রোগীর পরিবারের সাথে আপোষ করার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে ডা. মাসুম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ্য আছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply