ভারতকে বিধ্বস্ত করে জয় ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অভিষেক ম্যাচেই তাক লাগিয়ে দিলেন মোস্তাফিজুর। তরুণ এই পেসার ভারতের শিবিরে আঘাত হেনে তছনছ করে দিয়েছেন ব্যাটিং লাইন। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেই ৫ উইকেট। ক্রিকেট ইতিহাসে বর্ণাঢ্য যাত্রা শুরু হলো এই তরুণের। বলা যায় একমাত্র তার বোলিং তোপের মুখে পড়ে প্রথম ওয়ানডেতে পরাজয়ের মুখে ধোনির টীম। ধাওয়ান কোহলিকে আউট করে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। এরপর রোহিতকে আউট করলেন মোস্তাফিজ।ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই তরুণ পেশার রায়ানের উইকেটটিও নিয়েছেন।বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠা রোহিত সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে আউট হন।ধোনিও সাকিবের ঘুর্নিবলের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন টাইগারদের হাতে।
এরপর পুনরায় দ্বিতীয়বার ইনিংসের ৩৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও জোড়া আঘাত হানেন নবাগত মুস্তাফিজ। এক ওভারেই আউট করেন সুরেশ রায়েনা ও অশ্বিনকে। ৩০ রান করা রায়েনাকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরত পাঠান মোস্তাফিজ।আর অশ্নি শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
খেলার মাঝামাঝি সময়ে ভারতকে বেশ চেপে ধরেছে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে ভারত। শেষতক ১৫ ওভারে ধাওয়ানের প্রথম উইকেট পেলেন তাসকিন। এর আগে মাশরাফির একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মুশফিক। অন্য বোলাররা ব্যর্থ হলেও তাসকিন ঠিকই দুটি উইকেট নিয়েছেন। তার দ্বিতীয় শিকার বিরাহ কোহলি।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য অতিথি ভারতকে ৩০৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ২৪ ওভার শেষে ভারত ১২৫ রান সংগ্রহ করেছে।
ভারতের পক্ষে ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা ওপেনিংয়ে নামেন। এই জুটি ১৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেন। এরপর ক্রিজে আছেন রায়ানে।
শুরুতেই আজও বাংলাদেশ দুটি সহজ ক্যাচ মিস করেছে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির দুই দল এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ৩০৭ রান সংগ্রহ করে। ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দলগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি মিরপুরেই ভারতের বিপক্ষে ২৯৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের পক্ষে তামিম ইকবাল, সাকিব ও সৌম্য সরকার হাফ সেঞ্চুরি করেন।
Leave a Reply