ক্রিকেটের প্রতি সুবর্ণা মুস্তফার ভালোবাসা প্রবাদতূল্যই। বাংলাদেশের তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্যই তাঁর নখদর্পণে। আমাদের সাকিব, মুশফিক, তামিমদের সম্পর্কে তিনি যেমন ওয়াকিবহাল, ঠিক তেমনি ধোনি-কোহলি কিংবা ক্লার্ক-জনসনদের প্রায় সব খবরই তিনি রাখেন। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজটি তিনি উপভোগ করছেন প্রাণভরেই। তিনি মুগ্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নৈপুণ্যে। তাঁর মতে, ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্তরণটা একদমই বিস্ময়ের কিছু নয়।
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে অসম্ভব খুশি সুবর্ণা। দলের এই সাফল্য তাঁকে করেছে গর্বিতও। কিন্তু কিছু ব্যাপার তাঁকে পীড়িত করছে, বললেন অকপটেই। ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর স্টেডিয়ামে ‘মওকা-মওকা’ স্লোগানটা তাঁর একেবারেই ভালো লাগেনি। সিরিজ শুরুর আগেও অসম্ভব বিরক্ত ছিলেন ওই ‘বাঁশ’-সংক্রান্ত দেশীয় বিজ্ঞাপনচিত্রটা নিয়ে। তাঁর কথা হল, খেলাটা হয় ওই মাঠেই, ওই বাইশ গজের মধ্যেই। নির্দিষ্ট দিনে একজন খেলোয়াড় তেমন খেলছে, সেটাই আসল। আমি খেলা নিয়ে মাঠের বাইরে কী বলছি, না বলছি, কাউকে ছোট করছি কিনা-এসব কোনো ব্যাপার নয়। আমি “মওকা-মওকা” স্লোগান অপছন্দ করেছি। আমি “বাঁশ”, “হারিকেন” ইত্যাদি কথাবার্তাতেও প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছি। মাঠে খেলেই সবকিছুর জবাব দিতে হবে। অন্যভাবে নয়।’
বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ‘বিস্ময়-বালক’ বলেছেন এই প্রখ্যাত অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ছেলেটা বল করতে এলেই ব্যাটিং উইকেট হয়ে যাচ্ছে বোলিং উইকেট। এই বিস্ময়-বালককে খুঁজে বের করার জন্য তিনি ধন্যবাদই জানিয়েছেন দেশের নির্বাচকসহ, কোচ ও অন্যান্যদের। তিনি বলেন, ‘এই ছেলেটির ওপর বিশ্বাস রেখেছে অধিনায়ক মাশরাফি। প্রশংসাটা অবশ্যই ওর প্রাপ্য।’
সুবর্ণ মুস্তফা খুশি সাকিবের ওপর চাপটা কমে যাওয়ায়। তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশ দারুণ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পাইপ লাইনে প্রচুর ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা শুভ লক্ষণ। এখন আর একজনের ওপর নির্ভর করতে হয় না। সাকিবের ওপর চাপ কমেছে। এক স্থানে এখন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। সবাই পারফরম করছে। মধুর একটা পরিস্থিতি বাংলাদেশের ক্রিকেটের। এটাকে ধরে রাখতে হবে। আমি তো বাংলাদেশের ক্রিকেটের দারুণ একটা ভবিষ্যৎই চোখের সামনে দেখতে পারছি।’
এদেশের ক্রিকেটের নতুন প্রজন্মের ‘কাউকে তোয়াক্কা’ না করার ব্যাপারটি দারুণ লাগে সুবর্ণার। গৌরববোধও হয়। সৌম্য সরকার তাঁর অসম্ভব প্রিয় খেলোয়াড়। বলেছেন, ‘সে ধ্রুপদী ক্রিকেটার। আমার ওর ব্যাটিং খুব ভালো লাগে। সাব্বির রহমানকে বিশেষভাবে সুবর্ণার ভালো লাগে ওই ‘কুছ পরোয়া নেহি’ টাইপ মনোভাবের কারণে। তামিমের বদলে যাওয়াটা স্বস্তি দিয়েছে তাঁকে। রুবেল, তাসকিন-সবাই ভালো খেলছে। অধিনায়ক মাশরাফি তো সুবর্ণার চোখে বিশেষ কিছুই।\
Leave a Reply