সিলেট সদর উপজেলায় কুমারগাওয়ে কিশোর সামিউল ইসলাম রাজন হত্যাকারী কামরুল ইসলাম সৌদি আরবের জেদ্দায় আটকের খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সময় রাত আটটার দিকে জেদ্দার জামেয়া এলাকা থেকে  আটক করে পুলিশে দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

গত বুধবার কিশোর সামিউলকে হত্যাকান্ডের পর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে যান কামরুল । সৌদির লেবার পার্টির মোক্কাম্মেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল (জেদ্দা) মোকাম্মেল হোসেন এ খবর নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু কামরুলের নামে সৌদি আরবে কোনো মামলা নেই, তাই সৌদি পুলিশ তাকে আটকে রাখবে না। তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে রোববার সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের হায়দুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে মকবুল হোসেন জানিয়েছিলেন তার ভাই সৌদি থেকে ফোন করে বলেছিলেন কামরুলকে হত্যার ঘটনার পরদিনই তিনি সৌদিতে কামরুলকে দেখেছেন।

সোমবার রাত ৮টার দিকে টুকেরবাজার ইউনিয়নের হায়দুর গ্রামের মকবুল হোসেন সিলেট টাইমস বিডিকে জানিয়েছেন তার ভাই সৌদি আরব থেকে জানিয়েছেন কামরুলকে সৌদির জেদ্দায় আটক করেছে সে দেশের পুলিশ। আটক কামরুলকে কিশোর সামিউল ইসলাম রাজন হত্যাকান্ডের ভিডিও চিত্রে নির্যাতনের লোমহর্ষক ভূমিকায় দেখা গেছে।

কামরুল টুকের বাজার ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে। রোববার মহানগর আমলী আদালত-২ এর বিচারক ফারহানা ইয়াসমিনের আদালত মামলার আসামি কামরুলকে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আগেই কামরুল শুক্রবার দুপুর আড়াইটার বিজি ৪০৪ এর বাংলাদেশ বিমানে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সৌদিতে পালিয়ে যান।