ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ বা ‘ঈশ্বরের হাতে গোল’ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা সেই গোলটি আজও বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত। সুযোগ পেলেই ম্যারাডোনা এবং ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটন সে গোল নিয়ে একে অপরকে খোঁচা দিতে ছাড়েন না। ব্রাজিলভক্ত বা আর্জেন্টিনা বিদ্বেষীরা এ নিয়ে কম সমালোচনা করেননি। বহুদিন পর ফের আলোচনায় ’৮৬ বিশ্বকাপের সেই আলোচিত ঘটনাটি। দীর্ঘ ২৯ বছর পর আর্জেন্টিনা কিংবদন্তি সেই ম্যাচের রেফারি আলী বিন নাসেরের কাছে ক্ষমা চাইলেন।
বাণিজ্যিক এক প্রচারণায় সোমবার তিউনিশিয়া সফরে গেলেন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের আলোচিত সেই কোয়ার্টার ফাইনালের রেফারি আলী বিন নাসেরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এই মোক্ষম সুযোগ নষ্ট করেননি তিনি। ইংল্যান্ড-আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন আলী বিন নাসের। তার চোখকে ফাঁকি দিয়েই ম্যারাডোনা ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত গোলটি করেন। সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েন রেফারি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ঘটনাটির ২৯ বছর পর তিউনিশিয়া সফরে গিয়ে রেফারি আলী বিন নাসেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ম্যারাডোনা। তার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি মিস্টার বিন নাসের। আমি সেই গোলটি ঈশ্বরের হাত দিয়ে করেছি।’ বিশ্বকাপের সেই কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বজয়ের আনন্দে মাতে ম্যারাডোনার দল।
কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যারাডোনা বিতর্কিত হ্যান্ড অব গোলটি করলেও শতাব্দীর সেরা গোলটিও সেই ম্যাচেই উপহার দেন তিনি। ইংল্যান্ডের ছয়-সাতজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে সর্বকালের সেরা গোলটি উপহার দেন এ ফুটবল কিংবদন্তি।
এদিকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেই আলোচিত ঘটনার দীর্ঘ ২৯ বছর পর ২০১৪তে ম্যারাডোনার ‘বিতর্কিত’ সেই গোল নিয়ে মুখ খুলেছেন রেফারি আলী বিন নাসের। তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় তার কোনো দোষ ছিল না। ম্যাচে তার সহকারী বুলগেরিয়ান লাইন্সম্যান বগজান দোয়াৎচেভের ভুলেই গোলটি হয়েছিল। ওয়েবসাইট।
Leave a Reply