চম্পা। অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন পর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দায়ও সাহিত্য নির্ভর কাজ করছেন নিয়মিত। কথা বললেন তিনি_অনেকদিন পর আপনার অভিনীত ছবি মুক্তি পেল, কেমন লাগছে?
এসএ হক অলীকের ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ ছবিটি নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কারণ ওর কাজের কৌশল অন্যদের থেকে আলাদা। অন্যদিকে প্রথমবার শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করেছি। শুটিংয়ের সময় ও খুব মজা করত। সহজে মিশে যাওয়ার একটা গুণ আছে ওর মধ্যে। ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও এটি খুব মজার কাজ ছিল। শুটিংয়ের সময় লোকজন আমার কাণ্ড দেখে হাসাহাসি করত। তখনই মনে হয়েছিল দর্শক ছবিটা পছন্দ করবে।
এতদিন বড় পর্দায় দেখা যায়নি কেন?
অভিনয়ের আগ্রহ থাকলেও মনের মতো গল্প বা চরিত্র খুঁজে পাইনি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ছবি নির্মিত হচ্ছে, অথচ এদেশের ছবির কাহিনী এখনও একই ধাঁচের রয়ে গেছে। অন্যদিকে ডিজিটাল চলচ্চিত্রের নামে যা নির্মিত হচ্ছে, সেগুলোও মনে দাগ কাটতে পারেনি। এ কারণেই চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে ছিলাম।
ডিজিটাল চলচ্চিত্র দর্শকদের মাঝে আশা জাগাতে পারছে না বলেই কি আপনার ধারণা?
আমার কাছে চলচ্চিত্র আর ডিজিটাল শব্দ দুটো ভিন্ন। সত্যি বলতে কি, আমার কাছে ডিজিটাল চলচ্চিত্রকে টিভি নাটক মনে হয়। অন্যন্য বিষয়ের মতো চলচ্চিত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার হতে পারে। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে চলচ্চিত্রের সঠিক আদলটাও ধরে রাখতে হবে। নইলে চলচ্চিত্র, নাটক, টেলিছবি বলে আলাদা করে কোনোটা চেনানো যাবে না।
‘উজান গাঙের নাইয়া’ নাটকটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এতে অভিনয় করেছি। উপকূলীয় অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের জীবন সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত এই নাটকটি নিয়ে অনেকেই বলেছেন। উপকুলীয় অঞ্চলে শুটিং করেছি আমরা। সরাসরি ওখানে গিয়ে কাজ করাটা বিপদ। তারপরও সবার চেষ্টায় ভালোভাবে শেষ হয়েছে। নাটকে আমাকে সুলতানা চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। তার স্বামী প্রচণ্ড লোভী। এক সময় তার প্রতিবাদ করি। এতে কাজ করতে গিয়ে বারবার ‘পদ্মানদীর মাঝি’ ছবির কথা মনে হচ্ছিল। সত্যি, অনেক দিন পর অভিনয়ে আত্মতৃপ্তি পেয়েছি।
আর ‘ঝংকারী বেগম’ নাটক নিয়ে…
ঝংকারী বেগম চরিত্রটি আমার সম্পূর্ণ বিপরীত। সারাদিন কারণে-অকারণে ঝগড়া করা তার স্বভাব। বাস্তবে এমন অনেক মহিলা আছে, যারা কোনো কিছু না বুঝে ঝগড়া করতে থাকে। এটি এক ধরনের মানসিক সমস্যা। কাজ করার সময়ই টের পেয়েছিলাম নাটকটি দর্শক গ্রহণ করবে। প্রচারের পর বুঝলাম, ভুল করিনি।
নতুন কি করছেন?
জসিমউদ্দিনের ‘বোবা কাহিনী’ অবলম্বনে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছি। এখন গাজীপুরে এই চলচ্চিত্রের কাজ করছি। এখানে আমাকে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা হোসেন।
Leave a Reply