বিশেষ করে ঢাকার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) এলেই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। এর আগে কিংবা মাঝখানে জাতীয় দলের সিরিজ থাকলে ক্লাবগুলো অনেক সময় বেঁকে বসে। জাতীয় তারকাদের ছাড়া তাঁরা খেলতে চায় না। এতে করে ক্লাব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরটি কখনো পিছিয়ে যায়, আবার কখনো স্থগিত করে দিতে হয়। ক্লাব স্বার্থের কাছে মাথা নত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এসব মেনেও নিতে হয়। আশার কথা, দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসন এবার ঘরোয়া ক্রিকেটকে বাধাগ্রস্ত না করার শপথ নিয়েছে। গতকাল এক সভায় আসন্ন মৌসুমের ক্যালেন্ডারের খসড়া চূড়ান্ত করার পর ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান নাঈমুর রহমানের মুখেই উচ্চারিত হলো সেই শপথ, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিরক্ত করে আমরা কিছুই করব না।’
তবু কিছু ঘরোয়া আসরে তারকা ক্রিকেটারদের চাহিদা সব সময়ই থাকবে। তা থাকলেও সরবরাহ নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলার কথাও বললেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক, ”আমরা চাইছি প্রত্যেক বছর যেন ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার ওলটপালট না হয়ে যায়। যদিও ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আসরে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের চাহিদা থাকেই। তবু বাস্তব কারণে এখন আমাদের একটি সিদ্ধান্তে আসতেই হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নির্ভর করবে শুধুমাত্র তাঁদের পাওয়ার ওপরে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট একটা জায়গায় থাকবেই। চারটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টকে ‘ফিক্সড’ রেখে বাকিগুলো করা হবে।”
এর মধ্যে আসন্ন মৌসুম শুরু হবে ফার্স্ট ক্লাস আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে। পরের বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য চারটি আসরের যে সূচি প্রস্তাব করা হবে, তাতে এনসিএল শুরুর সময় ১৭ সেপ্টেম্বর। শেষ হবে ৮ নভেম্বর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরের জন্য প্রস্তাবিত সময় ২৫ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ফার্স্ট ক্লাস আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) জন্য ৫ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। যে আসর নিয়ে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়তে হয়, সেটি নিয়ে এবারও তেমন কিছুর শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ক্রিকেট অপারেশন্সের সভায় ঠিক হয়েছে ২০১৫-১৬ মৌসুমের ডিপিএল শুরু হবে আগামী ১১ মার্চ। যা আবার ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। কারণ ওই আসরটিও শুরু হবে একই দিনে।
Leave a Reply