সমুদ্র পথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরো এক যুবকের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন, জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের মো. নান্নু মিয়া সরকারের ছেলে মো. সোহাগ সরকার (২৫)। গত ২৪ দিন ধরে ওই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে তিনি মারা গেছেন নাকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন সে বিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি পরিবারের লোকজন। এর আগে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার দুই যুবকেরও হদিস নেই বলে দাবি করেছেন তাদের পরিবারেরর লোকজন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে লিবিয়ায় পাড়ি জমায় কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামের মো. ফজল মিয়ার ছেলে মো. নাজমুল হাসান ও একই গ্রামের মো. মন মিয়ার ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম। গত দুই-তিন দিন ধরে তাদেরও খোঁজ মিলছে না। এ অবস্থায় তাঁদের পরিবারের লোকজন নানা ধরণের শঙ্কায় ভুগছেন।
সোহাগের চাচা মো. আমিনুল ইসলাম সরকার জানান, বছর তিনেক আগে লিবিয়ায় পাড়ি জমান মো. নান্নু মিয়ার ছেলে সোহাগ। লিবিয়ার আলমোজা শহরের একটি পেট্রলপাম্পে সে চাকরি করত। ৫ আগস্ট সে হঠাৎ করে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার কথা জানায়। এর পরদিন থেকে তাঁর কোনো খোঁজ নেই।
এদিকে আমিনুলের বাবা মন মিয়া জানান, গত বুধবার রাতে তাঁর ছেলে আমিনুল ফোন করে ইতালি যাওয়ার কথা জানায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নৌকাডুবে বাংলাদেশিসহ অনেকের মৃত্যুর খবর পান তাঁরা। এর মধ্যে তাঁর ছেলে রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও আখাউড়ার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান, কারো মৃত্যুর নিশ্চিত কোনো খবর আমার কাছে নেই। পরিবারের লোকজন ধারণা করছে তাঁরা মারা গেছে। এমন হতে পারে জীবিত যে কয়জন উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মধ্যেই ওই দুজন রয়েছে।
Leave a Reply