কলকাতার অনেক সুপারহিট ছবির পরিচালক রাজাচন্দ্র ঢাকার লাক্সচ্যানেল আই সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা সাহা মিমকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ করছেন ‘ব্ল্যাক’ নামে একটি সিনেমা। এ ছবিতে মিমের নায়ক টালিগঞ্জের জনপ্রিয় তারকা সোহম। ঈদের আগে পরিচালক রাজাচন্দ্র ঢাকায় এসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল কক্সবাজারে ‘ব্ল্যাক’ সিনেমার শুটিং করা। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে শুটিং বাতিল করে নিজ দেশে ফিরে যান তিনি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আবার ঢাকায় আসবেন তিনি। ৮ই অক্টোবর থেকে কক্সবাজারে ‘ব্ল্যাক’ সিনেমার শুটিং করবেন। এ ছবিতে রাজাচন্দ্রের সঙ্গে যৌথ পরিচালক হিসেবে রয়েছেন কামাল মো. কিবরিয়া লিপু। কলকাতায় ফিরে যাওয়ার আগে মানবজমিনের সঙ্গে ‘ব্ল্যাক’ ছবিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন টার্গেট লেহালুয়ালে, জানেমান, চ্যালেঞ্জ টু, লাভেরিয়া, রংবাজ, বচ্চন, ফোর্স এবং ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’, ছবির সফল পরিচালক রাজাচন্দ্র। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণকে উভয় দেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শক এবং সিনেমা শিল্পের জন্য মঙ্গলজনক মনে করে রাজাচন্দ্র বলেন, ‘ব্ল্যাক’ যৌথ প্রযোজনায় আমার প্রথম পরিচালিত ছবি। খুবই ভাল লাগছে ছবিটি নির্মাণ করতে। ‘ব্ল্যাক’ দুই দেশের দর্শকদেরই খুব ভাল লাগবে এবং আমি ভবিষ্যতে যৌথ প্রযোজনায় আরও ছবি নির্মাণের আশা করছি। ছবির নায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম সম্পর্কে রাজাচন্দ্র বলেন, মিম খুব সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী। ভাল অভিনয়ের চেষ্টা তার মধ্যে আছে। তবে তার জন্য আমার কিছু পরামর্শ আছে। তার মধ্যে প্রথম ও প্রধান পরামর্শ হচ্ছে, তাকে সবসময় বিশ্বাস করতে হবে সে কমার্শিয়াল ছবির একজন নায়িকা। আমার মনে হয়েছে তার মধ্যে এই বিশ্বাসটা কম। রাজাচন্দ্র বলেন, যেদিন মিম পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করতে পারবে সে কমার্শিয়াল ছবির একজন নায়িকা সেদিন সে দারুণভাবে সফল হয়ে যাবে। এ বিষয়ে তার আরও একটু সিরিয়াস হওয়া দরকার। রাজাচন্দ্র জানালেন, তিনি বাংলাদেশের বরিশালের ছেলে। বরিশালের কামার মাটিতে আদিনিবাস। রাজাচন্দ্র বলেন, বাংলাদেশে আমি এর আগে অনেকবার এসেছি। এদেশে অনেক বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেছি। কিন্তু এবারের আসাটা একটু অন্য রকম। কারণ আমি আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। প্রায় ৫০ বছর পর বাবা-মা বাংলাদেশে এসেছেন। তবে সময় স্বল্পতার জন্য বরিশাল যেতে পারিনি। আবার যখন নিয়ে আসবো তখন বরিশাল অবশ্যই নিয়ে যাবো। রাজাচন্দ্র বলেন, শুটিং করতে পারিনি বলে খারাপ লেগেছে। কিন্তু বাবা-মাকে নিয়ে আসার কারণে খুবই ভাল লেগেছে। ‘ব্ল্যাক’ ছবির নাম প্রথমে ছিল ‘রকেট’। এ নামেই ছবির মহরত হয়েছিল। পরে নাম পরিবর্তন করে ‘ব্ল্যাক’ রাখা হয়। ছবির নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে রাজাচন্দ্র বলেন, ছবির গল্পের প্রয়োজনে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘ব্ল্যাক’ নামটি যে যথার্থ হয়েছে সেটি ছবিটি মুক্তি পেলেই প্রমাণ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের কিবরিয়া ফিল্মস ও ভারতের দাগ মাল্টিমিডিয়ার যৌথ প্রযোজনায় নির্মীয়মাণ ‘ব্ল্যাক’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহম, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, অমিত হাসান, রজতাভ দত্ত ও আশীষ বিদ্যার্থী।
Leave a Reply