সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেননি সালমারা। আজ অবশ্য অসহায় আত্মসমর্পণ। পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচির সাউথ এন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচের সিরিজ হারল বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডেতেও হার—পাকিস্তান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে সালমাদের।
১২৪ রানের লক্ষ্যটা লড়াই করার মতো নয়, ভালোই বুঝল বাংলাদেশের বোলাররা। ২০ রানে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট পড়লেও ফর্মের তুঙ্গে থাকা বিসমাহ মারুফ থিতু হয়ে গেলেন উইকেটে। মারিনা ইকবালের সঙ্গে প্রথম উইকেটে গড়লেন ৪৩ রানের জুটি। খেললেন ৪১ রানের সময়োপযোগী ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরো সিরিজ জুড়েই রান পেয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথম ওয়ানডেতে করেছিলেন ৯২। টি-টোয়েন্টিতেও জ্বলে উঠেছিলেন। খেলেছিলেন অপরাজিত ৬৫ ও ৪৪ রানের দুটি দারুণ ইনিংস।
রুমানা আহমেদের বলে বিসমাহ ফিরলেও অধিনায়ক সানা মীর ও আলিয়া রিয়াজের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৫ রান তুলে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পেয়ে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে নাহিদা আকতার দুটি ও রুমানা নিয়েছেন একটি উইকেট।
এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান তোলে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২১ রানের মাথায় উদ্বোধনী ব্যাটার শামিমা সুলতানা ফিরে যাওয়ার পরই বিপর্যয়। বিনা উইকেটে ২১ রান থেকেই ২৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন আয়েশা রহমান। ৫৩ রানের মাথায় আয়েশা ফিরলে আবারও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ফেরার আগে আয়েশার সংগ্রহ ৩৯।
৫৩ রানেই ৬ উইকেটের পতনের পর দলকে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক সালমা খাতুন ও নিগার সুলতানা। দুজনে গড়েন ৭৫ বলে ১৪ রানের এক শম্বুক গতির জুটি। ৬৭ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর জুটি গড়েন নিগার ও রিতু মনি। আয়েশার পর নিগার ও রিতুই কেবল দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন। নিগার করেছেন ৩০ রান ও রিতুর সংগ্রহ ২৮। শেষমেশ অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচালেও হার থেকে বাঁচতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।
পাকিস্তানের হয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন আসমাভিয়া ইকবাল। ২৮ রানে ৩ উইকেট ডান হাতি পেসারের। বাংলাদেশের আসল সর্বনাশ করেছেন আনাম আমিন। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি স্পিনার।
একের পর এক পরাজয়ের হতাশা নিয়ে পাকিস্তান থেকে আগামীকাল ফেরার কথা সালমাদের।
Leave a Reply