সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। কদিন আগেই ব্রাজিলিয়ান এক আদালত তাঁর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল কর ফাঁকির অভিযোগে। বার্সেলোনার হয়েও মাঠে গত মৌসুমের নেইমারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রাজিলের জার্সিতেও খেলতে পারছেন না কোপা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জের টানছেন বলে। এবার ক্লাব ফুটবলেও ছয় মাস নিষেধাজ্ঞার খড়্গ ঝুলছে নেইমারের মাথার ওপর। সাবেক ক্লাব সান্তোস যে ফিফার কাছে নেইমারের নামে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ করেছে।
নতুন ঝামেলার উৎস বেশ পুরোনো। সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন দুই বছর হলো। অথচ এখনো দলবদলের অঙ্ক নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। প্রথমে শোনা গেল ৫ কোটি ৭০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে কাতালান ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু কিছুদিন পরেই প্রকাশ পেলো নেইমারকে নিজেদের দলে আনতে বার্সেলোনাকে আরও বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল। সেটিও বেশ বড় অঙ্কেরই। বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট গত বছরই নেইমারকে দলে ভেড়াতে সব মিলিয়ে ৮ কোটি ৬০ লাখ ইউরো হয়েছে বলে বলে স্বীকারও করে নিয়েছিলেন।
নেইমারের আসল দাম যদি এত বেশিই হয়ে থাকে, সান্তোসেরও আরও বড় অঙ্কেরই টাকাই প্রাপ্য ছিল। সেই টাকা হাতে না-পাওয়াতেই এত দিন ধরে বার্সার সঙ্গে দর-কষাকষি করে আসছিল ব্রাজিলের ক্লাবটি। সেখানে সুবিধা করতে না পেরেই সোজা ফিফার দ্বারস্থ হলো। ব্রাজিলিয়ান দৈনিক ও’গ্লোবো সূত্রে জানা গেছে, ফিফার দলবদলের ১৭ নম্বর আর্টিকেল অনুযায়ী নিয়ম ভেঙেছেন নেইমার। আর্টিকেল ১৭ অনুযায়ী দলবদলের নিয়ম ভাঙলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাবকে আর্থিক ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা হয়। শাস্তি হিসেবে দায়ী ফুটবলারকে চার থেকে ছয় মাস নিষিদ্ধও করা হয়। সান্তোস ছয় মাসেরই নিষেধাজ্ঞা চাইছে।
ফিফা নিয়োজিত একটি কমিটি এখন বার্সেলোনার তারকার ভাগ্য নির্ধারিত করবে।
Leave a Reply