৩২তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে উইকেট পেলেন। চতুর্থ বলটা হাতছাড়া হলো। উইকেট পেলেন পঞ্চম বলে। ইশ! অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক হলো না জুবায়ের হোসেনের! তবে তাঁর দুর্দান্ত স্পিনে সেঞ্চুরিয়ন পার্কে আজ গোটেং স্ট্রাইকার্স গুটিয়ে গিয়েছে ১০০ রানে। জু্বায়েরের দিনে জ্বলে উঠেছিলেন প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া পেসার কামরুল ইসলামও। দুজনের দারুণ পারফরম্যান্সে সফরের শেষ ৫০ ওভারের ম্যাচে গোটেং স্ট্রাইকার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
গতকালই জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন কামরুল। চনমনে মনে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা শুরু করলেন তিনিই। ২০.৪ ওভারে ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় গোটেং। এর মধ্যে চারটিই কামরুলের।
কামরুল যদি আক্রমণের গোড়াপত্তন করেন, সেটির মধুর সমাপ্তি জুবায়েরের হাত ধরে। জুবায়েরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৭ রানেই পড়েছে শেষ ৪ উইকেট। চারটিই জুবায়েরের। এর মধ্যে রয়েছে ৩২তম ওভারে হ্যাটট্রিকের সুযোগ। হ্যাটট্রিক না হলেও ১.২ ওভার, মানে আটটি বল করেই মাত্র ৫ রানের ৪ উইকেট পেয়ে সে দুঃখ ভুলেছেন জুবায়ের।
‘সামান্য’ লক্ষ্যটা যে ‘এ’ দল সহজে পেরোতে পেরেছে, তা নয়। ১০১ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়েছে শুভাগত হোম চৌধুরীর দল। সর্বোচ্চ ২৬ এসেছে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া সৌম্য করেছেন ২০।
‘এ’ দলের বড় স্বস্তি, একের পর এক পরাজয়ের হতাশার পর অন্তত জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জিম্বাবুয়ে যেতে পারছে ‘এ’ দল।
Leave a Reply