তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আরেকটি দাপুটে জয়ে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ‘বাংলাওয়াশ’ করেছে টাইগাররা।‘ম্যাজিক বয়’ খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমানের ওয়ানডেতে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেটে সফরকারীদের ৬১ রানে হারায় স্বাগতিকরা।
এর আগে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবালের ১৪৭ রানের উদ্ধোধনী জুটিতে ভর করে জিম্বাবুয়েকে ২৭৭ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৭৬ রান।জিম্বাবুয়ে ২৭৭ রানে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করতে সমর্থ হয়।
ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে দল। ইনিংসের প্রথম বলে ৪ মারলেও দ্বিতীয় বলেই মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হন চামু চিবাবা। তারই বলে ১৭ রানে নাসিরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন রেজিস চাকাবা। এরপর নাসির এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে তুলে নেন ওয়ান ডাউনে নামা আরভিনকে।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা ও শন উইলিয়ামস ৮০ রান যোগ করলে সাময়িক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে সফরকারীরা। অবশ্য সাব্বির রহমানের ব্যাক্তিগত ৪৫ রানে চিগুম্বুরাকে বোল্ড করলে ইতি ঘটে ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটির।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে উইলিয়ামস ও ওয়ালার মিলে ৫৯ রান যোগ করেন। শন উইলিয়ামসের দৃঢ়তাপূর্ণ অর্ধশতকে ভালোই জবাব দিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু আল আমিন হোসেন ম্যালকম ওয়ালারকে আউট করে বাংলাদেশের জন্য কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু এনে দেন। এসময় দলীয় রান ছিলে ১৮৬।
পরের ওভারেই মাশরাফি তুলে নেন উইলিয়ামসকে। মুস্তাফিজের তোপের মুখে এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৩.৩ ওভারে ২১৫ রানে অল আউট হয় জিম্বাবুয়ে।
এরআগে ইমরুল কায়েসের ব্যক্তিগত ৭৩ রান ও তামিম ইকবালের ব্যক্তিগত ৭৩ রানে ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যার্থতায় ৩০০ রান ছুঁতে পারেনি মাশরাফিরা। সপ্তম উইকেট জুটিতে দলনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মাহমুদউল্লাহ মূল্যবান ৩৭ রান যোগ করেন। মাশরাফি ১৬ রানে ও মাহমুদউল্লাহ ৫২ রান করে বিদায় নেন।
শেষ ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন তামিম ইকবাল। আর ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয়েছেন মুশফিকুর রহমান।
এদিকে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
Leave a Reply