ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক (বরখাস্ত) পরিমল জয়ধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।ঢাকার ৪ নম্বর নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সালেহউদ্দিন আহমদ বুধবার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।ঘটনার চার বছর পর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
রায়ে বলা হয়, আসামি ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় করা অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হলো। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে দিতে বলেছেন আদালত।
আদালত রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘মামলা তদন্তে চরম দুর্বলতা ছিল। এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এসএম শাহাদাৎ হোসেন তদন্তে চরম অদক্ষতা ও গাফিলতি দেখিয়েছেন। পরিদর্শক পদমর্যাদার দু’জন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুবে খোদা ও এস এম শাহাদাৎ হোসেনের তদন্তে এমন গাফিলাতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা সঠিকভাবে তদন্ত করলে ভিকটিমের অভিযোগ সমর্থনের জন্য তা অধিকতর সহায়ক হতো।
রাষ্ট্রপক্ষ ইচ্ছা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে বলে রায়ের পর্যালোচনায় আদালত উল্লেখ করেন। তবে তাদের তদন্তের ওই দুর্বলতার কারণে এ মামলার আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি তা বলা যাবে না।
পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত ২৮ জনের মৌখিক সাক্ষ্য এবং ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনসহ অন্যান্য দালিলিক সাক্ষ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামি পরিমল জয়ধর তার কোচিং সেন্টারে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে। সেখানে ওই ছাত্রী ছাড়া আর কোনো সাক্ষী না থাকলেও ২০১১ সালের ১১ জুলাই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সত্য ও স্বেচ্ছামূলক ছিল।
Leave a Reply