গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, পাকিস্তানিরা এদেশে বাণিজ্যের নামে পণ্যের সাথে সন্ত্রাস পাঠাচ্ছে। দেশে বিগত বিদেশী হত্যাসহ সকল হত্যাকান্ডগুলো তাই প্রমাণ করে। আর হত্যাকারীরা পাকিস্তান থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে বলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পারছে না? কেন তাদের প্রতি আমাদের সরকারের নমনীয় মনোভাব? ডা. ইমরান পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈশ্বিক ও বাণিজ্যিক সব ধরণের সম্পর্ক স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করতে ব্যর্থ হলে এবং পাকিস্তান য্দ্ধুাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আবার পাকিস্তানি দুতাবাস ঘেরাও করবে জনগণ। বুধবার বিকালে শাহবাগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এসব কথা বলেন তিনি। ‘গণহত্যার দায় অস্বীকার’ ও ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’ নিয়ে পাকিস্তানের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এসময় ডা. ইমরান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের পর পাকিস্তান নানা বক্তব্য দিয়ে বিচারকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে। একাত্তরের হায়েনাদের বিচার চলাকালীন সময়েই তাদের এসব বক্তব্য আসছে। তারা জেনেছে যে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের আওতায় যারা আছে তাদের কেউই রেহাই পাবে না। এজন্যই তারা এসব করে যাচ্ছে। শুধু ১৯৫জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার নয়, বরং পাকিস্তানে বাংলাদেশের যত সম্পদ আছে তা ফিরিয়ে আনতে হবে বলে সরকারের কাছে দাবি জানান ইমরান। গত বছরের বাণিজ্য মেলায় পাকিস্তানী পন্য আনায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, জনগণ তো পাকিস্তানি পণ্য বর্জন করেছিল। তাহলে পাকিস্তানি পন্য বর্জন করতে সরকারের সমস্যা হয় কেন? সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল বের করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। মশাল মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু করে টিএসসি হয়ে আবার শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
Leave a Reply