সাভারের ‘রানা প্লাজা’ ভবন ধসে হাজারের বেশি প্রাণহানীর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানার চার সহযোগীর আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার সকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আল-আমিন ওই আদেশ দেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামি- আতাউর রহমান, আব্দুস সালাম, বিদ্যুৎ মিয়া এবং আমিনুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন।
পরে শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান। গত ২১ ডিসেম্বর ওই চারজনসহ ২৩ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
বাকিরা হলেন- সাভার পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, পৌর নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সাবেক উপ-প্রধান পরিদর্শক মো. আব্দুস সামাদ, উপ-প্রধান পরিদর্শক (সাধারণ, ঢাকা বিভাগ) মো. জামশেদুর রহমান, উপ-প্রধান পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিদর্শক (প্রকৌশল) মো. ইউসুফ আলী, ঢাকা বিভাগের পরিদর্শক (প্রকৌশল) মো. সহিদুল ইসলাম, রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন, ইতার টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস, মো. শফিকুল ইসলাম ভুইয়া, মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, মো. আতাউর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, বিদ্যুৎ মিয়া, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনি, রেজাউল ইসলাম, ঠিকাদার নান্টু, মো. আব্দুল হামিদ, আব্দুল মজিদ, মো. আমিনুল ইসলাম, নয়ন মিয়া, মো. ইউসুফ আলী ও তসলিম।
এদের মধ্যে আব্দুস সামাদ, জামশেদুর রহমান, বেলায়েত হোসেন, ইউসুফ আলী ও সহিদুল ইসলাম সরকারি কর্মচারি।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাস স্ট্যান্ডের কাছে নয় তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে ১১৩৫ জনের প্রাণহানি হয়, যাদের প্রায় সবাই ওই ভবনের বিভিন্ন তলার তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। এছাড়া ধসের ঘটনায় আহত হন কয়েক হাজার শ্রমিক।
ধসের ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং কয়েকদিনের মধ্যে তাকে ভারত সীমান্তের কাছে বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এ ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের দুই মামলায় চলতি বছরের ১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের
Leave a Reply