টাইগারদের দেয়া ১৫৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৪৫ রানেই থেমে গেছে ডাচদের রানের ঘোড়া। পরিণত টাইগারদের ধৈর্য্যের কাছেই যেন হার মানেন ডাচরা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৮ রানের জয় পায় মাশরাফিরা।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নেদারল্যান্ডস। সদ্য এশিয়া কাপে দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশ বড় সংগ্রহ গড়ে তুলবে এমনটাই আশা ছিল সবার। তবে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে মাত্র ১৫৩ রান।
এর জবাবে ডাচদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ওয়েসলি বেরেসি এবং স্টিফেন মাইবার্গ। দেখেশুনে খেলে তারা টাইগারদের দেয়া টার্গেট পূরণে চেষ্টা চালান। তবে আল আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন বেরেসি। ফিরেন ৯ রান করে।
বেরেসির বিদায়ের পর মাইবার্গ এবং বেন কুপার দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমানতালে পিটিয়ে যাচ্ছিলেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে নাসির মাইবার্গকে ফেরান। নাসিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে মাইবার্গ ২৯ রান তুলেন। এর পর দলের হাল ধরেন বেন কুপার। তবে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে তিনি ফিরেন ২০ রান করে। তবে তার সঙ্গী পিটার বোরেন দলকে ভালো অবস্থানে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেয়ার কাজটি ভালই করছিলেন তিনি।
১৬তম ওভারে সাকিবের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। তবে মিস করেন নাসির। এর দুই বল পরেই আবরও একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে নাসিরের হাতেই ধরা পড়েন তিনি। ফিরেন ২৯ রান করে। এর পর টম কুপার (১৫) ও মুবাশ্বের বুখারি (১৪) দলের জন্য কিছুটা চেষ্টা করেন। তবে টাইগারদের কাছে তাদের আত্মসমর্পণে বাংলাদেশের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ও আল আমিন ২টি করে উইকেট তুলে নেন। নাসির ও মাশরাফি নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে তামিম ইকবালের একার লড়াইয়ে বাংলাদেশ ১৫৩ রান সংগ্রহ করে। তামিমের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল অপরাজিত ৮৩ রান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৪ বছর পর টি-২০ তে অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। নিজের ইনিংসটি সাজাতে তামিম খরচ করে ৫৮টি বল। এর মধ্যে ছিল ৬টি চারের মার ও ৩টি ছক্কা।
দলের পক্ষে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ইনিংস গড়ে সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। এরা দুই জনই ১৫ রান করে সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে সাকিব, মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহর মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানরা কেবল সাজঘরে আশা যাওয়ার মিছিলটি দীর্ঘ করেছেন।
অনবদ্য পারফর্মেন্সের জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন তামিম ইকবাল।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে মূল পর্বের খেলায় একধাপ এগিয়ে গেলে টাইগাররা। তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। ১১ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply