নেদারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচ মাত্র ৬ ওভারের হলেও বাংলাদেশ-ওমানের অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচটি পুরো ২০ ওভারেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। কারণ ইতিমধ্যেই ধর্মশালার আকাশ অনেকটাই পরিস্কার হয়ে এসেছে। মাঠে অনুশীলনে নেমেছে দুই দল।
এর মধ্যে টসও হয়ে গেছে। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রন জানিয়েছে ওমান। আয়ারল্যান্ড ম্যাচের দল নিয়েই খেলবেন মাশরাফি। যার অর্থ আজও দলের বাইরে থাকছেন আরাফাত সানী ও নাসির হোসেন।
ব্যাটিংয়ের শুরুতেই সতর্কতার সাথে শুরু করেন তামিম-সৌম্য জুটি। প্রথম ২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২ রান। ৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ১৯। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে লালচিতাকে চার মেরে প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে টি২০তে হাজার রানের কোটা পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল।
অপরপ্রান্তে শুরু থেকেই সপ্রতিভ ছিলেন না সৌম্য সরকার। তামিম যখন চার-ছয়ের ফুলঝুঁড়ি ছুটিয়েছন তখন অন্যপ্রান্তে রান নেবার জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে সৌম্যকে। শেষ পর্যন্ত দলীয় ৪২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লালচিতার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন সৌম্য সরকার।
এরপর সাব্বিরকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোরটা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। তবে ওমান বোলারদের আটোসাট বোলিংয়ের সামনে খুব একটি স্বস্তিতে ছিলেন না এই দুই ব্যাটসম্যান। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৭০/১।
উইকেটে এসে কিছুটা সময় নিলেও খুব তাড়াতাড়িই ছন্দে ফিরেন সাব্বির।
১৩তম ওভারের প্রথম বলে কলিমকে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। ৩৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা তামিম পরের বলেই বোলারের উপর দিয়ে মানে বিশাল এক ছয়। ওই ওভারেই একশ রানের ঘরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
বাছাইপর্বের গত দুটি মাচের মতো এই ম্যাচেও রুদ্রমূৃর্তি ধারণ করেছেন তামিম। হাফ সেঞ্চুরির পর আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন তিনি। অর্ধ শতক করার আগে একটি ছয় ও ৭টি চার মারেন তামিম। সেখানে পঞ্চাশ পেরুবার পর আরো তিনটি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার।
এবারের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৮৩ রান করেন এই বামহাতি ওপেনার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও ৪৭ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন তামিম।
১৬তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অসাধারণ খেলতে থাকা সাব্বির রহমান। আউট হবার আগে ২৬ বলে ৪৪ রান করেন সাব্বির।
Leave a Reply