ওমান ম্যচেই হতে পারতো রেকর্ডটা। মুনীশ আনসারির করা ২০তম ওভারের প্রথম বলে থার্ডম্যান দিয়ে চার মেরে রেকর্ডটার কাছাকাছি চলে এলেন সাকিব। পরের বলেই মিড উইকেটের উপর দিয়ে বিশাল এক ছয়। একই দিনে জয় আর দুটি রেকর্ড দেখার আশায় কোটি বাঙালী ক্রিকেট ভক্ত।
পরের দুটি বল ওয়াইড। পঞ্চম বলে এক রান। রেকর্ডটা হবে তো। তামিম আবার একরান নিয়ে শেষ বলে স্ট্রাইক দিলেন সাকিবকে। নাহ! শেষ বলেও হলো না। মাত্র এক রান নিতে পারলেন সাকিব। হাজার রানের মাইলফলক থেকে মাত্র ৪ রান দূরে দাড়িয়ে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
প্রতীক্ষা বাড়লো আরো এক ম্যাচের জন্য। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলে নিশ্চিতভাবই পাকিস্তান ম্যাচেই রেকর্ডটা করে নেবেন সাকিব। আর এমনটা হলে তামিমের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি২০ ক্রিকেটে হাজার রানের কোটা পূর্ণ করবেন সাকিব।
তবে সাকিবের ক্ষেত্রে রেকর্ডটা আর একটু বেশি সম্মানের হবে কারণ হাজার রানের সাখে টি২০ তে ইতিমধ্যে ৬১ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। রানের দিক থেকে তার চেয়ে এগিয়ে কেবল ৫ জন অলরাউন্ডার। তারা হলেন মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, শহীদ আফ্রিদি, শেন ওয়াটসন ও যুবরাজ সিং।
তবে উইকেট শিকারের দিক থেকে সামনে কেবলই আফ্রিদি। যার অর্থ ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি২০ তে হাজার রান ও ৫০ উইকেটের হাতছানি সাকিবের সামনে। এ বছরই টি২০ তে ৫০ উইকেটের মাইলফলক পেরিয়েছেন সাকিব।
রোববার বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে টি২০ প্রথম সেঞ্চুরি এবং প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে হাজার রান পেয়েছেন তামিম ইকবাল। ওমানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৭ এবং বল হাতে ৪ উইকেট নেন সাকিব।
৯৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৩১৫ রান ও বল হাতে ৯৩ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি। আর মাত্র ৪ রান যোগ করলেই আফ্রিদির পাশে বসবেন সাকিব। এছাড়া ৭৪ ম্যাচে শোয়েব মালিক করেন ১৩৭২ রান। বল হাতে নিয়েছেন ২৫ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন ৫২ ম্যাচে করেছেন ১৩১৫। বল হাতে এই অজি অলরাউন্ডার নিয়েছেন ৪২ উইকেট। তালিকার পরের নামটি যুবরাজ সিংয়ের। ৫১ ম্যাচে বারত তারকার রান ১০৮২। সাথে ২৭ উইকেট রয়েছে যুরিব।
এরপরই রয়েছেন সাকিব। ৫০ ম্যাচে ৯৯৬ রান। সাথে ৬১ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে একই সাথে বাংলাদেশের জয় আর সাকিবের হাজার রানের মাইলফলক দেখার জন্য অপেক্ষা করছে লাল-সবুজের ক্রিকেট ভক্তরা।
Leave a Reply