বর্তমানে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের কাছে আতংকের এক নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে সমীহ করছে না এমন দল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তারপরও আইসিসি একটু খাটো করেই দেখছে বাংলাদেশকে!
তার প্রমাণও দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচের সূচিতেই তা প্রমাণ হয়েছে। বাংলাদেশ যে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার সামর্থ্য রাখে সেই চিন্তায় যেন মাথায় নেই আইসিসির কর্তা ব্যক্তিদের।
তাই তো এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের আগে বাংলাদেশের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ নির্ধারণ করে আইসিসি। অবশ্য বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে তাদের সেই অবজ্ঞার জবাব দিয়েছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মূলপর্বে আগামীকাল বুধবার প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মূলপর্বে খেলার আগে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে বাছাইর্ব। আইসিসির নিয়মানুযায়ী র্যাংকিংয়ের প্রথম আট দল সরাসরি খেলবে। আর বাকিদের মধ্যথেকে বাছাইপর্ব খেলে দুই দল সুপার টেনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
কোনো দলের র্যাংকিং হঠাৎ করেই অবনমন হতে পারে। কিছুদিন আগেও শ্রীলংকা টি-টোয়েন্টির র্যাংকিংয়ে ১ নম্বরে ছিল। কিন্তু বাজে ফর্মের কারণে তাদের অবস্থান চলে গেছে আট নম্বরে। বাংলাদেশ গত কয়েক ম্যাচে পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ড, ওমানকে হারিয়েছে।
তাই তো ক্রিকেট বিশ্বে বাছাইপর্ব খেলার নিয়মে মনে হয় সংশোধনী আনার পরিকল্পনা করছে আইসিসি। আর সেই পরিকল্পনার যদি প্রতিফলন ঘটে তাহলে বাংলাদেশকে আর বাছাইপর্ব খেলতে হবে না।
আইসিসির নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে জানান, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে বাছাইপর্ব খেলা লাগবে কি না সেটি পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে আইসিসি।
ডেভ রিচার্ডসনের এই কথার পেছনে অবশ্য কারণও আছে। আইসিসি যেসব বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারমধ্যে অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল বাছাইপর্ব খেলা। গত একদিনের আন্তর্জাতিক বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ যেন ক্রিকেট বিশ্বকে শাসিন করে যাচ্ছে।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজও জয় লাভ করেছে। এশিয়া কাপেও ফাইনালে খেলেছে। অথচ সেই বাংলাদেশকে ভারতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার জন্য বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছে। এনিয়ে কম সমালোচনা ঝড় ওঠেনি সমগ্র ক্রিকেট বিশ্বে। সোচ্চার ছিলেন দেশী-বিদেশী সাবেক তারকারা। তাদেরই কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়েছে প্রভাবশালী গণমাধ্যমও। অবশেষে বিষয়টি সম্ভবত আইসিসির নজরেও এসেছে। বাংলাদেশের মতো একটি দলকে বাছাইপর্বে খেলানোর মতো সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার বিষয়টি ভেবে দেখছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। –
Leave a Reply