বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টাটকা ডুয়েলের আগে টগবগ করে ফুটছে বাংলাদেশ।
আগামীকাল বুধবার ইডেন গার্ডেনসে টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টেনে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ম্যাচে নামার আগে টাইগার বাহিনী ফুল বেঞ্চ পাবে কি না, তা সময়ই বলবে। কিন্তু, মাশরাফিরা যদি ২২ গজে ফের এশিয়া কাপের দুরন্ত ফর্ম দেখাতে পারেন, তবে আফ্রিদিদের কপালে দুঃখ আছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ বছর আগে বাংলাদেশের একমাত্র ইডেন ম্যাচ এখন ধূসর স্মৃতিতে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে হারলেও নজর কেড়েছিল বাংলাদেশ। আর বাঙালির হৃদয় মাতিয়েছিলেন আতহার আলি খান। ৯৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংসটি এখনকার বাংলা বাহিনীর কেউ না দেখলেও তা যে তাঁদের তাতাতে কাজে লাগাবে দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, তা বলাই বাহুল্য। এর সঙ্গে যোগ করুন আরও কয়েকটি ফ্যাক্টর। নিজেদের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপেই কিন্তু পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেছেন মাশরাফি-তাসকিন-তামিমরা। হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার মতো দলকেও। এবারের টুর্নামেন্টে ধর্মশালার ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে গেলেও বাকি দুটো ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করেছেন বাংলার বাঘেরা। এরই পাশাপাশি গোটা টিমটাই একসঙ্গে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে। কোনো দিন বোলার, আবার কখনও ব্যাটসম্যানেরা— টিমে ম্যাচ উইনার বদলালেও বাংলার স্পিরিট একই রকম দুরন্ত রয়েছে। ফর্ম ছাড়াও কলকাতার সার্পোটও একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছে বুধবারের কালের ম্যাচে। ইডেনের সমর্থন ছাড়াও কলকাতায় এসে পড়েছেন হাজার দশেক বাংলাদেশি ক্রিকেট ফ্যান। তাঁদের সকলের টিকিটের চাহিদা হয়তো মিটবে না, কিন্তু ইডেনের অধিকাংশ দর্শকদের সঙ্গে হাজার পাঁচেক ‘খাঁটি’ বাংলাদেশি যে ইডেনে গলা ফাটাবেন, তা নিশ্চিত করে বলাই যায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানা গেছে, তাদের ২০০ জন অফিসিয়ালসহ ১৫ শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন ইডেনে।
মঙ্গলবার ইন্ডিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের উত্তেজনা যেতে না যেতেই পরের দিন পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ফলে ইডেনের দর্শকদের কিন্তু পোয়া বারো। তবে মাশরাফিদের কপালে সামান্য হলেও চিন্তার ভাঁজ। দলের সঙ্গে আসেননি তাসকিন আহমেদের মতো বোলার। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠায় আরাফাত সানির মতো চেন্নাইতে আইসিসির পরীক্ষার মধ্যে রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, মুস্তাফিজুর রহমানের ফিটনেস নিয়েও এখনও চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। গতকাল অধিনায়ক মাশরাফি জানিয়েছিলেন, নেটে বল করলেও মুস্তাফিজুরের খেলা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তাঁরা। কোচ ও ফিজিওর সঙ্গে কথা হলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং মুস্তাফিজুর। শেষমেশ কাটার-মাস্টার মুস্তাফিজুর মাঠে নামলে কিন্তু পাকিস্তানের কপালে দুঃখ আছে। চোট-আঘাত নিয়ে স্বস্তিতে নেই পাকিস্তানও। পায়ের আঙুলে চোটের কারণে টিমের নির্ভরযোগ্য বোলার মোহাম্মদ সামি ইডেনে নামবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। টুর্নামেন্টের শেষ ওয়ার্ম আপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে সুপার টেনে সাকিব আল হাসানকে পাওয়াটাও বাংলাদেশের পক্ষে একটা বড় পাওনা। এখন দেখার মাশরাফিরা সমর্থকদের প্রার্থনার মান রাখতে পারেন কি না!
Leave a Reply