সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) প্রক্টর এবং রেজিস্ট্রারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনায় ৬৭টি প্রশাসনিক পদ ছেড়েছেন ৫৫ জন শিক্ষক।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন সিকৃবির শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু। অপরদিকে অফিসার পরিষদের নেতারাও পাল্টা কর্মসূচি পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সিকৃবির বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বুধবারের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. আব্দুল বাসেত ও রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবের। বাক বিতণ্ডায় একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার পরিষদ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি গ্রহণ করে। শিক্ষকরা ক্লাস বজর্ন করে আন্দোলন শুরু করেন।
অপরদিকে অফিসার পরিষদের নেতারাও কাজে যোগ দেননি। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় ৬৭টি প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন ৫৫ জন শিক্ষক।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম শাহী আলম বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের নিয়ে একাধিক বৈঠকে বসলেও সংকটের সমাধান হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিকৃবির শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ড সমকালকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব প্রক্টর আব্দুল বাসেতকে লাঞ্ছিত করেছেন। এটি অপমানজনক একটি কাজ। শিক্ষক পরিষদ জরুরি সভা করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই আমরা ৬৭টি প্রশাসনিক পদ থেকে ৫৫ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছি।’
এ ব্যাপারে সিকৃবির অফিসার পরিষদের সভাপতি সানোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, ‘রেজিস্টার বদরুল ইসলাম শোয়েব একজন নিষ্ঠাবান মানুষ। অনৈতিক আবদার না রাখায় তাকে মারধর করেছেন প্রক্টর। আমরা প্রক্টরের অপসারণের জন্য উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপির মাধ্যমে আল্টিমেটাম দিয়েছি। আমাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রাতে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম শাহী আলমের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী বলেন, ‘স্যার মিটিংয়ে আছেন।’ পরে অনেক বার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
Leave a Reply