ইংল্যান্ডের কাছে হেরেও রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন দলগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে জাহানারা আলমের দল। সেই সাথে পঞ্চম উইকেটে হয়েছে পার্টনারশিপের নতুন রেকর্ড। পরের ম্যাচে নামার আগে এই ইতিবাচক ব্যাপারটি থেকে প্রেরণা নিতে পারবে বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছিল তারা। এবার ইংল্যান্ডের কাছে হারলো ৩৬ রানে।
ইংল্যান্ড সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাদের সাথে জেতার আশা করা ছিল বাড়াবাড়ি। টস জিতে আগে ব্যাট করে ইংলিশ মেয়েরা ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করেছিল। এরপর নিগার সুলতানার ৩৫ ও সালমা খাতুনের অপরাজিত ৩২ রানে ৬ উইকেটে ১১৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৫ ছিল টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেই সংগ্রহকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। নিগার ও সালমা পঞ্চম উইকেটে ৬৪ রানের জুটির নতুন রেকর্ড গড়েছেন। এই হারেও আরেকটি ইতিবাচক ব্যাপার আছে। ২০১৪ সালে সিলেটে বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৫৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল ৭৯ রানে। ২ বছরে উন্নতির চিহ্নটা পরিস্কার।
১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে ফারজানা হক (১৯) ও রুমানা আহমেদের (১৯) ব্যাটিংয়ে ফেরে তারা। দুজন কাছাকাছি সময়ে আউট হয়েছেন। এরপর নিগার ও সালমা প্রতিরোধের দেয়াল গড়েন। ৮.১ ওভার ব্যাট করেছেন তারা। ৭.৮৩ গড়ে রান তুলেছেন। তাদের ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে হারের চাপে ফেলতে পারেনি। তবে ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে এই ব্যাটিং প্রশংসা কুড়িয়েছে। সাহসী ব্যাটিং করা নিগার শেষের দিকে মেরেছেন ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটিও। ২৮ বলে তার ৩৫ রানের ইনিংসটিতে আছে ৪টি বাউন্ডারি। আর সালমার অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস ৩০ বলের, ৪ বাউন্ডারি সেখানে।
এর আগে অধিনায়ক জাহানারা নিয়েছেন ৩ উইকেট। এডওয়ার্ডস ও ট্যামি বিমোন্ট ৩৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছেন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিমোন্ট হয়েছেন পেসার জাহানারার প্রথম শিকার।
এরপরও দ্রুত গতিতে ছুটছিল ইংল্যান্ড। ৩৬ রানের জুটি হয়েছে দ্বিতীয় উইকেটে। বাংলাদেশ স্পিনে প্রতিপক্ষকে বশে আনার চেষ্টা করছিল। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম ও ষষ্ঠ বোলার সাফল্য এনে দিয়েছেন। দশম ওভারে বিপজ্জনক সারাহ টেলরকে (৯) ফ্লাইটে বোকা বানিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার করেছেন লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। পরের ওভারেই অফ স্পিনার খাদিজা তুল কুবরা তুলে নেন নতুন ব্যাটার হিদার নাইটের (১) উইকেট।
থামানো যাচ্ছিল না এডয়ার্ডসকে। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নিয়েছেন। নাতালি সিভারের সাথে চতুর্থ উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন এডওয়ার্ডস। দুজনে অবশ্য পরপর দুই ওভারে ফিরেছেন। সিভারের (২৭) উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার সালমা খাতুন। আর ৫১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করা ক্লান্ত এডওয়ার্ডসকে শিকার বানিয়েছেন লেগ স্পিনার রুমানা আহমেদ। ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছেন জাহানারা। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট জাহানারার। ১টি করে উইকেট সালমা, ফাহিমা, কুবরা ও রুমানার।
Leave a Reply