চেন্নাস্বামী স্টেডিয়াম দেখতে অনেকটা ইনডোর স্টেডিয়ামের মতোই। সব গ্যালারিতেই ছাউনি আছে। আবার বেয়াড়া দর্শকদের বোতল ছোড়া থেকে রেহাই পেতে গ্যালারি ও মাঠের সঙ্গে নেট টানানোরও ব্যবস্থা আছে। সবুজ ঘাস আর রঙিন গ্যালারি মিলিয়ে ক্যানভাসটা মনোমুগ্ধকর। মাঠের আয়তন অবশ্য অনেক ছোট। সব মিলিয়ে ৭৯ থেকে ৭২ মিটারের মধ্যে। ম্যাচের দিন বাইরের জায়গাটুকু বাদ দিয়ে সেটা ৬০-৭০ মিটারে নেমে আসে। রানপ্রসবা ভেন্যু হিসেবেই পরিচিত চেন্নাস্বামী। বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মনে করছেন, এ মাঠে টি ২০তে ১৮০ রানও নিরাপদ নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি ২০ বিশ্বকাপের সুপার টেন পর্বের প্রথম ম্যাচে হেরে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে রয়েছে। এরপর কাল বাংলাদেশের দুই বোলার স্পিনার আরাফাত সানি ও পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং অবৈধ্য ঘোষণা করেছে আইসিসি। কোচ পাকিস্তানের বিপক্ষে হারকে একটি খারাপ দিন হিসেবেই দেখছেন। কলকাতার দুঃস্মৃতি পেছনে ফেলে আগামীকাল বাঙ্গালোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো শুরুর অপেক্ষায় রয়েছেন টাইগারদের কোচ।
কাল বাঙ্গালোরের একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে পাশের চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এসে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের একটি খারাপ দিন গেছে। তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ওইদিনের কথা আমরা ভুলে যেতে চাই। এখানে এসেছি। এখন নতুন ভেন্যুতে নতুন করে আমরা ভালো শুরুর অপেক্ষায় আছি।’ ইডেন ও বাঙ্গালোরের উইকেটের পার্থক্য নিয়ে কোচ বলেন, ‘বাঙ্গালোরে পিচে একটু বেশিই পেস থাকবে। বল সহজে ব্যাটেও আসবে। এখানে ১৮০ রান মোটামুটি ভালো
স্কোর।’ বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারেরই বাঙ্গালোরে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর এটা দলের জন্য কাজে দেবে বলেই মনে করেন হাথুরুসিংহে।
বাঙ্গালোরের উইকেটে সবুজের ছোঁয়া থাকবে। কাল তাসকিনের বোলিং নিষিদ্ধ হওয়াটা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। এ উইকেটে তার বোলিং আরও বেশি কার্যকরী হতো। এখন মুস্তাফিজুর রহমানের মাঠে নামা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে দলের জন্য। চোট কাটিয়ে মুস্তাফিজের মাঠে ফেরার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘সে (মুস্তাফিজ) পুরো ফিট আছে। আজও বোলিং করেছে। কিন্তু আমরা আগামীকাল (আজ) ফিজিওর সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছি।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে মুস্তাফিজ থাকলে ম্যাচের ভাগ্য বদলে যেত কিনা, সেটা বলতে পারছি না। কিন্তু তাকে আমরা খুব মিস করেছি।’
কোচ বলছেন বাঙ্গালোরে ২০০ রান হতে পারে। তবে ২০০ রান টপকানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে কিনা জানতে চাইলে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘২০০ রান তাড়া করা সব সময়ই কঠিন। আমরা এখনও এটা পারি না, কিন্তু আশা করছি একসময় অবশ্যই পারব। আমরা পাঁচ বোলার একাদশে রেখে প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য দিতে চাই। এটাই আমাদের ম্যাচ পরিকল্পনা।’ ওপেনার
সৌম্যর বাজে ফর্ম নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। এতে কিছুটা ক্ষুব্ধই বাংলাদেশ কোচ, ‘আপনাদের সবার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাটেই জয় পেয়ে আমরা এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছি। সে কয়টা
ইনিংস খারাপ খেলেছে? হবে চারটা। কিন্তু দেড় বছর ধরে সে দলকে সেবা দিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘সব দলের বিপক্ষে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় একইরকম থাকে। অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল। তবে তারা প্রথম ম্যাচ হেরেছে। আমরা তাদের আরেকবার হারাতে পারি।’ অনিল কুম্বলের ঘরের মাঠের উইকেট সবুজ দেখে হাথুরুসিংহে চার পেসার নিয়ে নামার ছক কষছেন –
Leave a Reply