সদ্য সমাপ্ত টি২০ বিশ্বকাপের সেই দুঃসহ স্মৃতি কখনও ভোলার নয়। বিশ্বকাপে মূলপর্বে স্বাগতিক ভারতকে বাগে এনেও জয় তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
১ রানে হারতে হয় মাশরাফি বাহিনীকে। শেষ ওভারের স্মৃতি বাংলাদেশ কেন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব মনে রাখবে বহুদিন।
ওই ম্যাচে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। মাঠে ছিলেন বাংলাদেশের দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মুশিফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ভারতের অধিনায়ক ওই চাপের সময় বল তুলে দেন হার্ডিক পান্ডিয়ার হাতে। প্রথম বলে রিয়াদ ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক পরিবর্তান করেন। স্ট্রাইকে যান মুশফিকুর রহিম।
পর পর দুই বল দুটি চার মেরে ভারদের দর্শকদের মনে কাঁপন ধরিয়ে দেন মুশফিক। শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২ রানের। তবে তিন বলে একটি রান আউটসহ ৩ উইকেটের পতন ঘটে। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হন রিয়াদ ও মুশফিক। আর শেষ বলে রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশকে ১ রানের পরাজয় মেনে নিতে হয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়েই থাকবে। সেই হারের ক্ষতে যেন আবার নতুন করে নুন ছিটিয়ে দিলেন শেষ ওভারে বল করে হঠাৎ নায়ক বনে যাওয়া হার্ডিক পান্ডিয়া।
বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলারের বলকে ওভার বাউন্ডারি মারা বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে একরকম ব্যাঙ্গ করলেন পান্ডিয়া।
তার বলে ছয় মারার যোগ্যতা নাকি মুশফিকের নেই। এমনটাই দাবি করেছেন পান্ডিয়া।
স্পোর্টসকিডাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি জানি আমাকে ছয় মারার ক্ষমতা মুশফিকের নেই। সে হয়তো চার মারতে পারে। এবং সে সেটা মেরেওছিল।
তিনি আরও বলেন, ধোনি আমাকে বলেছিল কোনো চাপ না নিয়ে বল করতে। মুশফিক যখন দুটি চার মেরে আনন্দ করছিল তখন আমি তাকে বলে ছিলমা খেলা এখনও শেষ হয়নি। শেষ তিন বলে তারা ২ রান নিতে পারলো না। এখানেই তারা অনভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে।
পান্ডিয়া বলেন, যেকোনো বিচক্ষণ ক্রিকেটারই ওই মুহূর্তে জয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়তো। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পারজয় বরণ করে নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
Leave a Reply