টি-টোয়েন্টিতে ওভারপ্রতি রান গড়ে ছয়ের নিচে রাখাটাই যেখানে কৃতিত্বের, ১ ওভারে ৯ রান দিলেই যেখানে অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটে, সেখানে মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারেই দিয়েছেন মাত্র ৯ রান! কাল হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আবারও ‘মুস্তাফিজ ম্যাজিক’। ৪ ওভার বল করেছেন, তাঁর ২৪ ডেলিভারির ১৭টি থেকেই কোনো রান নিতে পারেননি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা। এমন জাদুকরি বোলিং মুস্তাফিজকে এনে দিয়েছে আইপিএলের প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কার।
প্রথম ওভারটা ছিল মেডেন, টানা তিনটি ডট বলের পর রান নেওয়ার তাড়া থেকেই রানআউট মানান ভোরা। নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই নিজের প্রথম শিকারের দেখা পান ‘সাতক্ষীরা সায়ানাইড’। কিংস ইলেভেনের ঘরের ছেলে হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এবং আইপিএলের সফল ব্যাটসম্যানদের একজন শন মার্শ বোকা বনে যান মুস্তাফিজের ট্রেডমার্ক অফকাটারে। লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে ৪০ রান করে মার্শ ফেরেন ডাগআউটে। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান দেন মুস্তাফিজ, তুলে নেন পাঞ্জাবের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা শন মার্শের মূল্যবান উইকেট। তৃতীয় ওভারে উইকেট না পেলেও দেন মাত্র ২ রান। ইনিংসের শেষ ওভারটা করতে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ভরসা রাখেন মুস্তাফিজের উপরই। অধিনায়কের ভরসার মর্যাদা দিয়ে দ্বিতীয় বলেই তুললেন নায়েকের উইকেট। শেষ ওভারে দিয়েছেন মোটে ৬ রান, সব মিলিয়ে মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার ৪-১-৯-২। এবারের আইপিএলের সবচেয়ে কৃপণ বোলিংয়ের রেকর্ডটা এখন মুস্তাফিজের দখলে। ওভারপ্রতি গড় রান ২.২৫। অঙ্কে সমান জন হেস্টিংসও, তবে তিনি বল করেছেন ২.৪ ওভার। বোলিং কোটা পূরণ করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজের চেয়ে কৃপণ আর কেউ নেই। ‘ফিজ’-এর এমন বোলিংয়ের পর পাঞ্জাব ৬ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাবে ডেভিড ওয়ার্নারের ৫৯ রানে ভর করে ১৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় সানরাইজার্স। গতকাল অন্য ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ১০ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। দিল্লির ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের জবাবে ৭ উইকেটে ১৫৪-তে থামে মুম্বাই। ক্রিকইনফো..
Leave a Reply