আগে থেকেই ম্যাচটা কঠিন মনে হচ্ছিল। ১৯তম প্রথম বলে থিসারা পেরেরা আউট হলে কঠিন হয়ে যায় পুনের জয়। হাতের মুঠোয় জয় দেখতে পেয়েই হয়তো শেষ ওভারটা অক্ষর প্যটেলকে দিয়ে করানোর চিন্তা করেন পাঞ্জাব অধিনায়ক মুরালি বিজয়। কারণ জিততে হলে শেষ ওভার থেকে ২৩ রান করতে হবে ধোনি-অশ্বিনকে।
প্রথম বলে মারলেও সেই বল থেকে রান নেন নি ধোনি। দ্বিতীয় বলে লং অনেরে উপর দিয়ে ৯৫ মিটার ছক্কা মেরে অসম্ভবটাকে সম্ভবের দিকে আনার চেষ্টা করলেন ধোনি। তৃতীয় বলে আবার ডট বল। অসাধারণ জোরের উপর মারলেও হাশিম আমলার ফিল্ডিংয়ের কারণে নিশ্চিত চার রান বঞ্চিত হয় পুনে।
চতুর্থ বলটা প্রায় ছক্কা হয়েই গিয়েছিল। সীমানা থেকে কয়েক ইঞ্চি সামনে পড়ার কারণে চার রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ধোনিকে। পঞ্চম বলে ডিপ উইকেটের উপর দিয়ে আবার ধোনির ছয়। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ৬ রান।
হাফ হেলিকপ্টার শটে বলকে গ্যালরিতে আছড়ে মারেন ভারত অধিনায়ক। আর প্রায় অসম্ভব একটা ম্যাচ জিতে নেয় পুনে। এই জয়ে অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে কোনো পরিবর্তন হয়নি। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে পাঞ্জাব আর ঠিক তার উপরে ধোনির দল পুনে।
বিশাখাপত্তমে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট ১৭২ রান করে পাঞ্জাব। জবাবে শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ধোনি। পাঞ্জাবের হয়ে সবোর্চ্চ ৫৯ রান করেন অধিনায়ক বিজয়। এছাড়া ৩০ বলে ৫১ রান করেন গুরক্রিত সিং। হাশিম আমলা করেন ৩০ রান।
পুনের হয়ে ৩৪ রানে চার উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
১৭৩ রানের জবাবে ৮০ রানেই ৫ উইকেট হারায় পুনে। সেখান থেকে ৫৮ রান যোগ করেন ধোনি ও পেরেরা। ৩২ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। এছাড়া উসমান খাজা ৩০ ও পেরেরা ২৩ রান করেন।
Leave a Reply