ফুটবলের ‘রাজা’ তিনি। সময়ের পালাবদলে যুগে যুগে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো অনেক খেলোয়াড়কে তুলনায় দাঁড় করানো হয়েছে তাঁর সঙ্গে। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে। আলফ্রেদো দি স্তেফানো, ইয়োহান ক্রুইফ, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারদের নামও জুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তবে পেলের নিজের কাছে কিন্তু পছন্দের তালিকার শীর্ষে এঁদের কেউ নেই। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির সেরা লিওনেল মেসি।
নিজের আত্মজীবনী নিয়ে বানানো সিনেমার প্রচারণার অংশ হিসেবে পেলে গিয়েছিলেন মিলানে। সেখানেই অতীত-বর্তমান মিলে ফুটবলে আলো ছড়ানো খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী বেছে নিয়েছেন মেসিকে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে বেছে নেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি ইতালিয়ান ক্রীড়া দৈনিক ‘গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত’কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে, ‘বিষয়টা বেশ জটিল, কারণ অনেক খেলোয়াড়কে তুলনায় দাঁড় করানো হয়েছে আমার সঙ্গে (সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় বাছতে)। প্রথমে দি স্তেফানো, পরে ক্রুইফ, বেকেনবাওয়ার, ববি চার্লটন, ম্যারাডোনা, আর এখন মেসি। এদের মধ্যে লিওকেই আমার বেশি পছন্দ, ও পরিপূর্ণ।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘মেসি আমার পছন্দের খেলোয়াড়, যদিও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও নেইমার—দুজনই ভালো। ওদের খেলার ধরন পরিবর্তন এনেছে ফুটবলে।’
আর সব ব্রাজিলিয়ানের মতো ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়ায় পেলেকে। জার্মানদের বিপক্ষে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য দেখে চোখে পানিই চলে এসেছিল ৭৫ বছর বয়সী এই কিংবদন্তির। ‘মিনেইরাজো’ ট্র্যাজেডি নিয়ে বললেন, ‘গত বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য ছিল চরম হতাশার। জার্মানির বিপক্ষে ৭ গোল হজম করেছিলাম। হেরে যেতেই পারি, তাই বলে ৭ গোল!’ সেদিন মনে পড়ে গিয়েছিল তাঁর ‘মারাকানাজো’র কথা, ‘৯ বছর বয়সে আমার বাবাকে প্রথম কাঁদতে দেখেছিলাম। এটা ছিল মারাকানাজোর পর, যখন ব্রাজিল ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে গিয়েছিল উরুগুয়ের বিপক্ষে।’ বাবার মতো কান্না না করলেও চোখ ছলছল করেছিল জার্মানির বিপক্ষে ব্রাজিলের হার দেখার পর, ‘দুই বছর আগে যখন জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল, তখন আমার ছেলের সামনে চোখে পানি এসেছিল প্রায়।
Leave a Reply