আজিজুর রহমান খোকন : ৩০ নভেম্বর ২০১৫। সিলেটের আদালত অঙ্গনে মিডিয়া কর্মী ও উৎসুক জনতার ভীড়। বিকেল ঠিক ৩টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এজলাস কক্ষটি ও সামন জনাকীর্ণ হয়ে উঠে। নির্দিষ্ট সময়ে বিচারকের আসন গ্রহণ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ। সিলেটে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর “শিশু রাকীব হত্যাকান্ডের” বিচারের রায় শুনার জন্য অপেক্ষা করছেন সবাই। রায় ঘোষণার পূর্বে মাননীয় বিচারক তাঁর ভূমিকা বক্তব্যে একজন নবীন আইনজীবীর ভূয়সী প্রসংশা করেন। যিনি অত্র মামলায় আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। তারপর সে নবীন আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পিনপতন নিরবতায় জনাকীর্ণ আদালতে পিছনের বেঞ্চে বসা একজন স্বলজ্জ ভঙ্গিতে উঠে দাঁড়ালেন। নবীন এই আইনজীবীর নাম প্রবাল চৌধুরী (পুজন)। ২০১৩ সালের ৬ মে সিলেট জেলা বারের সদস্যপদ লাভ করেন। বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী শিশির কুমার রায়ের তত্ত্ববধানে আইন পেশায় হাতেখড়ি। শুরু থেকেই নানা ধরনের জটিল মামলা দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে Morning show’s The Day এই প্রবাদের সত্যতা প্রমাণ করেছেন। প্রশংসা কুড়িয়েছেন পথিতযশা আইনজীবীদেরও।
মুক্তিযোদ্ধদের চেতনায় বিশ্বাসী এই নবীন আইনজীবীর ছোট বেলা থেকেই ছিল আইন পেশার প্রতি ব্যপক আগ্রহ। রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং মদন মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই তিনি ভর্তি হয় সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে। এরপর এক মুহূর্তের জন্যও তাকে থেমে যেতে হয়নি।
সফল ভাবে পরিচালনা করেছেন একের পর এক জটিল মামলা। সিলেটে ইসলামী ব্যাংকের প্রতারনার বিরুদ্ধে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। হয়েছেন সংবাদপত্রের শিরোনাম।
মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন আইনজীবী হিসাবে রাকীব হত্যার মত একটি নির্মম হত্যাকান্ডের আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোন নাগরিকের আইনী সহায়তা পাওয়ার অধিকার আছে। আমার কাজ আইনী সহায়তা করা, বিচার করা নয়। বিচার করার দায়িত্ব আদালতের। ন্যায় বিচারের স্বার্থেই আসামীকে আইনী সহায়তা করা প্রয়োজন।
Leave a Reply