স্বাগতিক দেশ হওয়ার সুবিধাটা বেশ ভালোভাবেই নিচ্ছে আমেরিকা। ঘরের মাঠে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে শতবর্ষী কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দেশটি। মাঠের খেলার থেকে দু’দলই মনোযোগী ছিল পেশি শক্তি প্রদর্শনের দিকে। তাই লাল কার্ড দেখেছে দু’দলই।
দ্বিতীয়বারের মত কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে শুরু থেকেই এগিয়ে যাওয়ার মিশনে আক্রমণ করতে থাকে আমেরিকা। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিট কোন দলই তেমন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। ২৭ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পায় ক্লিন্সম্যানের দল। জার্মেইন জোন্সের অসাধারণ বাড়ানো বলে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ক্লিন্ট ডেম্পসি। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে আমেরিকা।
বিরতির পর যেন দু’দলই মাঠের খেলার থেকে শারীরিক খেলায় মেতে ওঠে। এ যেন বাঁচা-মরার লড়াই। ৫২ মিনিটেই ইকুয়েডরের এন্থনিও ভ্যালেন্সিয়া দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সুবাদে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন। একই ফাউলের কারণে আমেরিকান মিডফিল্ডার জার্মেইন জোন্স সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দু’দলই ১০ জনের দলে পরিণত হয়।
৬৫ মিনিটে ডেম্পসির ক্রস থেকে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন গায়সি জারদেস। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ইকুয়েডর। ৭৪ মিনিটে এন্থনিও মিনা ইকুয়েডরের পক্ষে একটি গোল শোধ দিলেও সেটি শুধুমাত্র ব্যবধান কমানোর কাজেই লাগে তাদের। ম্যাচের বাকিটা সময় আর কোন গোল না হওয়ায় ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আমেরিকা। ১৯৯৫ সালের পর আবারো কোপার সেমিতে উঠলো আমেরিকা। আর্জেন্টিনা এবং ভেনেজুয়েলার ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে সেমিতে লড়বে তারা
Leave a Reply