শ্রীলঙ্কার দুই গ্রেট ক্রিকেটার মুত্তিয়া মুরালিধরন ও মাহেলা জয়াবর্ধনেকে তাদের পাওনা টাকা দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আইপিএল সূত্রে কোটি টাকা পাওনা তাদের। অনেকবার লিখিত ও মৌখিক ভাবে টাকা চেয়েও কোনো কাজ হয়নি। অভিযোগ টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী লঙ্কান অফ স্পিনার মুরালিধরনের। মুরালির ৪ লাখ ও মাহেলার ৫ লাখ ডলার পাওনা।
বিষয়টি আসলে চাপা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ আইপিএল ইনজুরির কারণে মিস করলেও সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে দুই কোটি বিশ লাখ রূপি পেয়েছেন ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি চায়নাম্যান স্পিনার ব্র্যাড হজ বিষয়টি প্রথমে তুলে ধরেন। তিনি টুইট করেন, “দেখলাম ২০১৫ আইপিএলে ইনজুরির কারণে মোহাম্মদ শামি বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেলো। কোচি তুস্কার্সের খেলোয়াড়দের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ কি আছে?”
২০১১ আইপিএলে ছিল কোচি তুস্কার্স। ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারায় তাদের বাদ দেয় বিসিসিআই। ওই দলে খেলেছিলেন মুরালি, মাহেলা, ভিভিএস লক্ষ্মন, রবিন্দ্র জাদেজার মতো হাই প্রোফাইল ক্রিকেটাররা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এই প্রসঙ্গ টানলে তাদের কাছে মুরালি দাবি তুলে ধরেন, “বিসিসিআইয়ের কাছে আমি ৪ লাখ ডলার ও আমাদের দলের ক্যাপ্টেন মাহেলা ৫ লাখ ডলার পাই। এই বিষয়ে বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কাছে অনেকবার লিখেছি, কথা বলেছি। তারা অনেকবার আশ্বস্ত করলেও কিছুই হয়নি। সব মিলিয়ে কোচির খেলোয়াড়রা ২০ লাখ ডলার পায় বিসিসিআইয়ের কাছে। ফ্রাঞ্চাইজি আমাদের ৬০ শতাংশ টাকা দিয়ে বাকি ৪০ শতাংশ বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে নিতে বলে। তাদের দাবি, বোর্ডের কাছে গ্যারান্টি মানি আছে।”
ভারত বোর্ড কিন্তু এই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছে। তারা বলছে, এই টাকা ওই ফ্রাঞ্চাইজির দেওয়ার কথা। বিষয়টি আদালতে। আদালত বললে তারা টাকা দিয়ে দেবে। কিন্তু মুরালিরা দাবি ছাড়বেন না। বিসিসিআইয়ের ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, “বিশ্বের কতো লিগই তো খেলেছি। কিন্তু কোনো বোর্ড এমনটা করেনি। খেলোয়াড়দের মতো বোর্ডেরও চুক্তিকে সম্মান করতে হবে। মনে হচ্ছে খেলোয়াড়দের পরোয়াই করে না ওরা। কেবল টুর্নামেন্ট চালানোই তাদের কাজ।”
Leave a Reply