যাদের ওজন বেশি তারা কমানোর জন্য কতো কিছুই না করে থাকে। ব্যায়াম, ডায়েটের পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন রকম খাবার গ্রহণ। তকে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে এমন খাবার গ্রহণ করা হয় যা শরীরের ওজন না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়ে দেয়। চলুন জেনে নেয়া যাক ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনা খাবারগুলো এড়িয়ে যাবেন।
*পটেটো চিপস এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই:
ওজন কমাতে চাইলে আপনার প্রিয় পটেটো চিপস এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া বন্ধ করুন। ভাজা পটেটো চিপসে উচ্চ ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে যা রক্তে সুগার এবং ইনসুলিন বৃদ্ধি করে। আপনি আলু পছন্দ করলে চিপসের পরিবর্তে আলু সিদ্ধ খেতে পারেন।
* ডায়েট সোডা:
ওজন কমানোর জন্য এই কাজটি প্রায় সবাই করে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন ডায়েট সোডার আর্টিফিশিয়াল সুগার আপনার ওজন আরো বৃদ্ধি করছে? ২০১৫ সালে American Geriatrics Society একটি জার্নাল প্রকাশ করেন যে, যারা ডায়েট সোডা পান করেন তাদের পেটের মেদ তিনগুণ বৃদ্ধি পায় নয় বছরে যারা সাধারণ সোডা পান করে থাকেন। এছড়া এটি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
* পাউরুটি:
পাউরুটিতে অন্যতম শর্করা জাতীয় খাবার হলেও এর কোন পুষ্টিগুণ নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি রয়েছে যা আপনার ক্ষুধা লাগার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যারা নিয়মিত বেশি পরিমাণে পাউরুটি খেয়ে থাকেন, ১২ বছরের মধ্যে তাদের ওজন বৃদ্ধি পায় অতিরিক্ত পরিমাণে।
* সালাদ ড্রেসিং:
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সালাদ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই সালাদে ব্যবহৃত কমার্শিয়াল সালাদ ড্রেসিং আপনার ওজন বৃদ্ধি করে। এতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট এবং ক্যালরি থাকে। কিছু সালাদ ড্রেসিংয়ে বাদাম, কিশমিশ থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি করে।
* প্যাকেট ফ্রুট জুস:
ফ্রেশ ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে যা শরীরে শক্তি প্রদান করে। কিন্তু বাজারে প্যাকেটজাত ফলের রসে ফ্রুক্টোজ নামক উপাদান রয়েছে যা ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। মূলত বাজারে আর্টিফিশিয়াল ফলের রস চিনি, পানি এবং কেমিক্যালের সংমিশ্রণে সৃষ্টি এক প্রকার পানীয়। তাই বাজারের ফলের রসের পরিবর্তে তাজা ফলের রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
* লো ফ্যাট ফুড:
গবেষণায় দেখা গেছে যারা লো ফ্যাট ফুড খেয়ে থাকেন, তারা অতিরক্ত ৩০% এর বেশি খাবার খান। কারণ লো ফ্যাট তৈরি খাবারে চর্বি বাদ দেয়া হয়, এর সাথে খাবারের স্বাদও কমে যায়। যা কারণে তারা বার বার খাবার খেয়ে থাকেন।
Leave a Reply