চেয়ে চেয়ে যেন নিজের দল সাসেক্সের বিদায় দেখতে হলো মুস্তাফিজুর রহমানকে।
রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই প্রায় ছিটকে গেল সাসেক্স। বুধবার সাসেক্সকে মাত্র ৯ রানে হারিয়ে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখল হ্যাম্পশায়ার।
হ্যাম্পশায়ারের দেয়া ২৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৯ রান তুলতে সক্ষম হয় সাসেক্স। শেষ ২২ বলে মাত্র ৩৫ রান দরকার ছিল সাসেক্সের। হাতে ছিল ৬টি উইকেট। তবুও জিততে পারেনি তারা।
৬ ম্যাচে মাত্র ১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে সাসেক্স। ২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ গ্রুপে সাসেক্স ৯ দলের মধ্যে সবার তলানিতে। গ্রুপ পর্বে বাকি আছে আর দুটি ম্যাচ। এই দুটি ম্যাচ জিতলেও যে তারা সেরা চারের মধ্যে থাকবে, সেই সম্ভাবনা খুবই কম। ৬ ম্যাচে যাদের মাত্র ১টিতে জয় তারা শেষ ২ ম্যাচের ২টিতেই জিততে পারবে এমন আশা না করাই ভালো।
তাছাড়া, এই দুটি ম্যাচ জিতলে সাসেক্সের পয়েন্ট হবে ৬। এখন পর্যন্ত গ্রুপে তিন থেকে সাত—এই পাঁচ দলেরই পয়েন্ট ৬ করে। এই পাঁচ দলের অন্তত দুটির ৭ কিংবা ৮ পয়েন্ট পাওয়া খুবই সম্ভব। কিন্তু সাসেক্সের ৬–এর বেশি পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৯ পয়েন্ট নিয়ে এসেক্স ও সমারসেট এই গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে শেষ আটে পা মোটামুটি দিয়েই রেখেছে।
সেরা চারে না থাকতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারবে না সাসেক্স। সাসেক্সের ইচ্ছা ছিল কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই হয় তো মুস্তাফিজ সুস্থ হয়ে যাবেন। তখন তাকে খেলানো হবে।
কিন্তু সাসেক্সের কোয়ার্টার ফাইনালেই যাওয়া হচ্ছে না।
এদিকে সাসেক্স কোয়ার্টার ফাইনালে গেলেও মুস্তাফিজের খেলা হতো না।
বিসিবি জানিয়েছে, বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেয়া হবে না তাকে নিয়ে। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করা হবে বাঁ-হাতি এই পেসারের বাঁ-কাঁধে।
কাঁধে অস্ত্রোপচার করা হলে আগামী ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে মুস্তাফিজকে। সে ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড সিরিজসহ নিউজিল্যান্ড সফরেও তার খেলা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে উন্নত চিকিৎসার কথা ভেবে ইংল্যান্ড থেকে এখনই তাকে দেশে আনা হচ্ছে না
এবারের ইংলিশ কাউন্টিতে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের এ তরুণ পেসারের। সাসেক্সর হয়ে মাত্র দুটি টি২০ ম্যাচ খেলে ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে তাকে। প্রথমটিতে ৪ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান তিনি। পরের ম্যাচে অবশ্য উইকেটশূন্য ছিলেন এ কাটার মাস্টার।
Leave a Reply